,

লাখাইয়ে স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় ১৬ বছর পর ঘাতকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ লাখাইয়ে স্কুল ছাত্র রুবেল মিয়া (৯) হত্যা মামলার রায়হান (৩০) নামে এ ঘাতককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ এসএম নাছিম রেজা এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।  দন্ডপ্রাপ্ত রায়হান ঢাকা জেলার রমনা থানার শিকদার বাড়ি এলাকার শাহাজান মোল্লার পুত্র। রায়ের সময় ঘাতক আদালতে উপস্থিত ছিল। আদালত সুত্রে জানা যায়, হত্যাকারী রায়হান লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আব্দুল হাইকে ধর্মপিতা ডেকে সেখানেই বসবাস করেই আসছি। ২০০৩ সালের ৮ আগস্ট একই গ্রামের শরীফ মিয়ার ৯ বছর বয়সী সন্তান স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র রুবেলকে মাছ ধরার কথা বলে নৌকাতে করে পার্শ্ববর্তী হাওরে নিয়ে বলৎকারের চেষ্টা চালায়। শিশু রুবেল এ সময় চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাত-পা বেঁধে শ^াসরোদ্ধ করে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। ঘটনার ৩ দিন পর হাওরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। ১১ আগস্ট মরদেহ উদ্ধারের দিনই রুবেলের পিতা বাদী হয়ে রায়হানকে একমাত্র অসামী করে লাখাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে লাখাই থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা কল্যাণপুর থেকে রায়হানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। সে ১৬ আগস্ট হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দেয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর লাখাই থানার তৎকালীন এসআই শাহজাহান মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সে দীর্ঘদিন কারাভোগ করে উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করে আসছিল। হত্যা কান্ডের দীর্ঘ ১৬ বছর পর ১১ জনের স্বাক্ষীর জবানবন্দীর শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন। গতকাই তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে নিহত রুবেলের পরিবার এ রায়ে সন্তুষ্ঠ নয় বলে জানা গেছে। রাষ্ট্র পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি আব্দুল আহাদ ফারুকসহ অন্যান্য আইনজীবি।


     এই বিভাগের আরো খবর