,

নবীগঞ্জে আহত ব্যক্তির বসত ঘর তালাবদ্ধ করে রাখে চাঁন মিয়া গং

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর গ্রামে দুরুদ মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেধে বেধরক মারধর ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাচ্ছে! অপরদিকে পুরুষ শূন্য পরিবারের বসত ঘর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চাঁন মিয়া গং। অভিযোগ উঠেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে আহত দুরুদ মিয়ার বসতঘর তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙ্গে দুরুদ মিয়ার লোকজনকে ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন। এ ঘটনায় দুরুদ মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন তাদের উপর হামলার আশংকায় করছেন বলে এ প্রতিনিধি জানিয়েছেন তারা। প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় দুরুদ মিয়া গজনাইপুর ইউনিয়নের বিয়ানীবাজারস্থ মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্য বাড়ির নিকটে পৌঁঁছামাত্রই চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে তার ছেলে ছমদ মিয়া ও ওয়াহিদ মিয়া গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুরুদ মিয়ার উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায় এবং দুরুদ মিয়াকে গাছের সাথে বেঁধে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে তাকে। এক পর্যায়ে দাড়াঁলো দা দিয়ে দুরুদ মিয়াকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে চাঁন মিয়া গং এর লোকজন। এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর সোমবার বিকেলে দুরুদ মিয়ার স্ত্রী মালা বেগম বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মারামারির মামলা দায়ের করেন। পরে ওই দিনই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মামদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে মামলার আসামী রুহুল আমীনকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর