,

অংশীদারদের দেয় মূলধন আত্মসাত করার জন্য প্রতারক গাজীর বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ

স্টাফ রিপোর্টার:: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে অংশীদারকে ঠকানো জিএস ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অংশীদার গাজিউর রহমানের অপকর্ম তুলে ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অপকর্ম ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে প্রতারক গাজীউর রহমান। গতকাল সে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেনের আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত তিনটি চেক জালিয়াতির মামলায় জামিন নিতে হাজির হয়। বিজ্ঞ বিচারক শুনানীকালে বলেন, এই মামলায় নি¤œ আদালতে হাজির হলেই জামিন হতো। উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। পরে জামিন শুনানীর জন্য আগামী ১১ নভেম্বর তারিখ ধার্য্য করেন বিচারক। হবিগঞ্জের পিপি এড. সিরাজুল হক চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পিপি বলেন, আমার কর্মজীবনে এ ধরণের ঘটনা দেখিনি। জামিনযোগ্য হওয়ার পরও একজন আসামী উচ্চ আদালতে গিয়ে নিজেকে চালাক প্রমাণের চেষ্টা ছিল এটি। এদিকে বিরোধ নিষ্পত্তি করার পর সালিশ সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে হবিগঞ্জের সালিশ বিচারকদের মাঝে। হবিগঞ্জের বিভিন্ন সালিশ বিচারের সাথে জড়িত মুরুব্বীয়ান এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা সমাজে শান্তি-শৃংখলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন সমস্যা সমাধাণের চেষ্টা করি। কিন্তু বিচার করার পর কোন পক্ষের কাছ থেকে কখনও কষ্ট হইনি। কিন্তু আমাদের জনপ্রতিনিধি এমপি এড. মোঃ আবু জাহির বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেয়ার পর প্রতারক গাজীউর রহমান গাজী মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানীর ঘটনা দুঃখজনক। হবিগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. সৈয়দ আফরোজ বখত বলেন, পত্রিকা দেখে বুঝতে পেরেছি দু’টি পক্ষ তাদের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সংসদ সদস্যের স্মরণাপন্ন হয়। পরে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি হলেও একটি পক্ষ রায় না মেনে ভিন্ন পথে হাটছে।


     এই বিভাগের আরো খবর