,

সৌদি থেকে ফিরছেন আজমিরীগঞ্জের যুবতী

সংবাদদাতা ॥ সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার সুমি আক্তারের পর হুসনা আক্তার নামে আরেক বাংলাদেশি কর্মীকে তার কর্মস্থল থেকে উদ্ধার করেছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের হস্তক্ষেপে হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সৌদি আরবের নাজরান এলাকায় একটি বাড়ি থেকে ভিডিও বার্তায় দেশে ফেরার আকুতি জানানো গৃহকর্মী হুসনে আরাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এখন সৌদি আরবের নাজরান এলাকায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। যা জেদ্দা থেকে হাজার কিলোমিটার দুরে। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নজরে আসে। এরপর সৌদিতে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। হুসনা আক্তার আজমিরিগঞ্জ উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। সূত্র জানায়, জেদ্দা থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে নাজরান পুলিশ হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে রেখেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দ্রুত হস্তক্ষেপে হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। কর্মস্থলে নির্যাতনের শিকার হুসনা আক্তার গত রবিবার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভিডিওবার্তা পাঠান। তার পাঠানো ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওবার্তায় হুসনা আক্তার বলেন, ‘আমি আর পারতাছি না। তোমরা যেভাবে পারো আমারে তোমরা বাঁচাও। এরা আমারে বাংলাদেশ পাঠাইতো চায় না। এরা আমারে ইতা করতাছে। অনেক অত্যাচার করতাছে। আমারে ভালা কামের কথা কইয়া পাঠাইছে দালালে। আমারে ইতা করতাছে ওরা। আমি আর পারতাছি না সহ্য করতাম। তোমরা যেভাবে পারো আমারে নেও।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আগে সৌদিতে নির্যাতনের শিকার সুমি আক্তারও একইভাবে তাকে নির্যাতনের কথা জানিয়ে ভিডিওবার্তা দিলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের হস্তক্ষেপে তাকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর