,

সুশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়লে সমাজের সঠিক উন্নয়ন হবে -এমপি আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মোঃ আবু জাহির বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার বিকল্প নেই। এলাকায় সুশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়লে সমাজের সঠিক উন্নয়ন হবে। শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই আমি এলাকার উন্নয়ন কাজ পরিচালনার চেষ্টা করি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শাহজিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এমপি আবু জাহির আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট থেকে হবিগঞ্জবাসীর জন্য মেডিকেল কলেজ উপহার এনেছি। শীঘ্রই প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও বিগত প্রায় ১১ বছরে হবিগঞ্জের শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঘটেছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই আমি পরিশ্রম করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। এ সময় তিনি সকলের সন্তানকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠানোর অনুরোধ জানান। উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক সৈয়দ গাজিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুখলিছ মিয়ার পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার শেখ সেলিম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাফর সাদেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তা আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাহজিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আরা বেগম। মূল আয়োজনে ছিলেন উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক সৈয়দ গাজীউর রহমান, সদস্য সচিব মুখলিছ মিয়া, সৈয়দ মো. রাসেল গোলাম কিবরিয়া রায়হান, উজ্বল মিয়া, হেলাল মিয়া, শেখ সোহানুর রহমান, মজিবুর রহমান উদয়, আব্দুল হালিম তালুকদার, বদরুল তালুকদার, শোয়েব মিয়া, সৈয়দ শাহান শাহ পীর, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম মজনু প্রমুখ। সভায় সুরাবই মডেল হাইস্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য শতাংশ জমি দান করেন গিয়াস উদ্দিন মুখলিছ, গোলাম কিবরিয়া ও হামিদুল ইসলাম চৌধুরী রতন। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সবধরণের সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস্থ্য করেন এমপি আবু জাহির। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী এবং অতিথিবৃন্দকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। কয়েকজনকে প্রদান করা হয় মরণোত্তর সম্মাননাও। এর আগে বিভিন্ন ধরণের খেলাধূলা, র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শতবর্ষ উৎসব পুর্তির সমাপ্তি ঘটে।


     এই বিভাগের আরো খবর