,

বানিয়াচং বরশি দিয়ে মাছ ধরতে বাঁধা প্রদানে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ বানিয়াচং উপজেলার উন্মুক্ত রত্মা নদীতে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে বাঁধা প্রদানের ফলে গতকাল সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুন খন্দকারের নিকট বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বানিয়াচং বরশি সমিতির লোক জন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবতৎ বরশি দিয়া রত্মা নামক নদীতে শখের বশে, বরশি দিয়া মাছ ধরে সমিতির লোক জন। ইদানিং বরশি সমিতির কোন কোন সদস্যরা উক্ত নদীতে মাছ শিকার করতে গেলে উল্লেখিত ২য় পক্ষ অবৈধ ভাবে তারা সমতির সদস্যদের, ১৩নং মন্দরী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামছুর দোহাই দিয়ে বাঁধা প্রদান, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং সদস্যরা যে মাছ শিকার করে তা জোরপূর্বক ভাবে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমনকি মারপিঠ করার হুমকি প্রদান করে। তাছাড়াও তারা সুনামপুর গ্রামের পূর্বে জালের বাঁধ হতে আনুমানিক ৩ কি.মি পশ্চিমে আরেকটি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার পায়তারা চলাচ্ছে। এ ব্যাপারে সমিতির লোক জন বারংবার বিভিন্ন সময়ে লিখিত ভাবে মাননীয় জেলা প্রশাসক সমীপে ০৩/০১/২০১৩ইং ২০/১১/২০১৬ইং, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়্যারম্যান এর স্বরনাপন্ন হয় কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। বিগত ২৯/১১/২০১২ইং তারিখে দেবজিৎ সিংহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বানিয়াচং, তিনি এ বিষয়ে সুরাহা করার জন্য আশ^াস দেন কিন্তু তার কোন সুরাহা হয়নি। এমতাবস্থায় উল্লেখিত নদীতে ২য় পক্ষের অবৈধ বাঁধ দেওয়ার ব্যাপারে একটি সুরাহা জন্য বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্বরনাপন্ন হয় তারা। নতুবা যে কোন দিন উক্ত ২য় পক্ষগণ চরম ভাবে শান্তি ভঙ্গ করতে পারে বলে অভিযোগে জানা যায়। তাছারা উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে রত্মা নদী দখল করা নিয়ে পত্র পত্রিকার খবর প্রকাশিত হয়। এ ব্যাপারে হোসেন আহমদ বাদী হয়ে শামিম, শাহীন, সেলিম, সুজাত খাঁ সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুন খন্দকারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর