,

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল “হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে বানিয়াচং উপজেলাই শীর্ষে”

সংবাদদাতা ॥ সদ্য ঘোষিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠস্থান দখল করেছে বানিয়াচং উপজেলা। সমাপনী পরীক্ষায় নিবন্ধনধারী ছাত্রছাত্রী ছিল মোট ৫ হাজার ৮ শত ৮৬ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে ৫ হাজার ৫ শত ২১ জন। পাশ করেছে ৫ হাজার ২ শত ২৬ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫৮ জন। পাশের হার ৯৪.৬৬শতাংশ যা হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। হবিগঞ্জ জেলার হাওরখ্যাত এই উপজেলার মেয়ে শিক্ষার্থীদের ফলাফল বেশ চমকপ্রদ। পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ছিল বেশি। মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বালিকাদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১ শত ৬৩ জন। তন্মধ্যে বালিকা পাশ করেছে ২ হাজার ৯ শত ৯৪ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির মধ্যেও বালিকারা এগিয়ে। মোট ১ শত ৫৮টি জিপিএ-৫ এর মধ্যে বালিকারা পেয়েছেন ৯১টি। এছাড়াও উপজেলার মধ্যে ফলাফলের দিকদিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন সানজিদা জামান খান দিবা। ঐ শিক্ষার্থীও একজন মেয়ে। বানিয়াচং উপজেলার মধ্যে সমাপনী পরীক্ষায় সবচেয়ে ভাল ফলাফল করেছে মীর মহল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। অত্র বিদ্যালয়ের মোট ৮৫ জন পরীক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৮৫ জনই উত্তীর্ন হয়েছেন। এরমধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ঐ বিদ্যালয়টির পাশের হার শতভাগ। এ ব্যাপারে মীলমহল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিঠির সভাপতি ও জেলার শ্রেষ্ট এসএমসি এসএম খোকন জানান, আমি বিদ্যালয়টির দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বিরাজ করছে। তারপর আস্তে আস্তে উঠান বৈঠক মা সমাবেশ করে শিক্ষকদেরকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় করে দিলাম। ধীরে ধীরে ফলাফল পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই জায়গায় চলে এসেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম জানান, অত্র উপজেলার সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল খুবই ভাল হয়েছে। এরজন্য শিক্ষা বিভাগের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিবাভকদের অবদান রয়েছে। সবার সমন্বিত চেষ্টার ফলেই বানিয়াচং উপজেলার ফলাফল জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর