,

দাঙ্গা মুক্ত হলে ঢাকা, চট্রগ্রামের পরই একটি প্রতিষ্ঠিত জেলা হবে

হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচঙ্গের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কাদিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও চারগাঁও মাদ্রাসায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহর উদ্যোগে এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। এ সময় দাঙ্গা, ইভটিজিং, বাল্য বিয়ে, মাদকের কুফল ও জঙ্গীবাদের কুফল বিষয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং সচেতনা মূলক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় চারগাঁও মাদ্রাসার ছাত্র ও এলাকার দরিদ্র শিশুদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম, বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার সামন্ত, ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান তালুকদার ও সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জু কান্তি রায়, সাংবাদিক এসএম সুরুজ আলী, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মলাই প্রমূখ। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন-কেউ দাঙ্গায় জড়িত হবে না। অন্যকে দাঙ্গায় জড়িত করবেন না। আর যারাই দাঙ্গায় জড়িত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন- হবিগঞ্জ একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। এখানে শিল্পকারখানা রয়েছে। শিল্পকারখানায় শ্রীলংকা, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের লোকজন কাজ করছে। এ জেলাটি দাঙ্গা মুক্ত হলে ঢাকা, চট্রগ্রামের পরেই হবিগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই দাঙ্গা মুক্ত করে শান্তিপূর্ণ একটি জেলা হিসেবে হবিগঞ্জকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। শিক্ষার্থীরা যাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না পারে এ জন্য অভিভাবকদের সর্তক থাকতে হবে। ইভটিজিং বাল্যবিবাহ, গ্রাম্য দাঙ্গা কুফল তুলে ধরে তিনি বলেন- কোথায় কোন মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হলে পুলিশকে জানাবেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। আর বাল্যবিবাহ একটি মেয়ের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও স্বপ্ন ধ্বংশ করে দেয়। বাল্যবিবাহের কারণে মেয়েদের জীবন ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। অল্প বয়সে মা হতে দিয়ে মেয়েদের অকাল প্রান হারাতে হচ্ছে। তাই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর