,

যে ভয়াবহ মহামারীতে মৃত্যু হয়েছিল লাখ লাখ মানুষের

সময় ডেস্ক ॥ কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের কারণে পর্যুদুস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ব ব্যবস্থা। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছেন এবং আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ মানুষ। এই মহামারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি মহামারীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। ১৯১৮-১৯১৯ সময়ে সারাবিশ্বে ছড়ানো সেই ইনফ্লুয়েঞ্জার উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছিল তা জানা যায়নি। ারৎঁং.ংঃধহভড়ৎফ.বফঁ ওয়েবসাইটের মতে, সেই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে ২০-৪০ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, ওই ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যু হয়েছিল ৫০ লাখ মানুষের এবং আক্রান্ত হয়েছিল ৫০০ মিলিয়ন মানুষ। ঐ১ঘ১ ভাইরাসের কারণে ওই ইনফ্লুয়েঞ্জাটি ছড়িয়েছিল। এ ভাইরাসের কারণে ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রেই প্রাণ হারিয়েছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও এত মানুষের প্রাণহানি হয়নি। বিশ্ব ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক মহামারী হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ১৩৪৭ সালে থেকে ১৩৫১ সময় প্লেগ রোগে চার বছরে যত মানুষ মারা গিয়েছিল ১৯১৮-১৯ ব্যাপী এক বছর ওই ভাইরাসে তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়, ওই ইনফ্লয়েঞ্জা পরিচিতি পেয়েছিল স্প্যানিশ ফ্লু বা লা গ্রিপি নামে। বিশ্বের এক পঞ্চমাংশ মানুষ তাতে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে ৫ বছরের নিচে, ২০-৪০ বছর বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার হার ছিল বেশি। ওই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে তখন কোনো প্রচলিত চিকিৎসা ছিল না। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন, ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল যা এখন করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও করা হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর