,

লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই সাময়িক বরখাস্ত

সূর্য্য রায় : হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাইর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল, ৪জুন (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এতে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাইয়ের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীর তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ মর্মে সুপারিশ করেন জেলা প্রশাসক। অপরাধমূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে ওই চেয়ারম্যানের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উল্লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাইকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। যার অনুলিপি দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিব, বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আড়াই হাজার টাকা করে সরকারের নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির আওতায় লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নে ১ হাজার ১৭৬ জন উপকারভোগীর তালিকা করা হয়। কিন্তু তালিকা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ৩০৬ জন উপকারভোগীর বিপরীতে মাত্র ৪টি মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। এছাড়া তালিকায় স্বামী-স্ত্রী, একই পরিবারের ৬ জনসহ অনেক বিত্তশালীর নামও রয়েছে। একটি ওয়ার্ডে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসবাস না থাকলেও সেখানে দেয়া হয় তাদের নাম।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে জেলা প্রশাসন ওই ইউনিয়নের তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নূরুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান


     এই বিভাগের আরো খবর