পিণ্টু অধিকারী : মাধবপুরে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে লাভের আশা করছেন চাষিরা। এরই মধ্যে মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন সোনালি আঁশ আহরণ শুরু হয়েছে। দাম নিয়ে চিন্তায় কৃষক, তাই সোনালি আঁশে স্বপ্ন বোনছে চাষিরা। ৫ নং আন্দিউড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জোয়ালভাঙ্গা গ্রামের পাট চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় পাট চাষের অনুকূল পরিবেশ ছিল। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত, ভালো বীজের সহজলভ্যতা ও সারের সংকট না থাকায় ফলন হয়েছে ভালো। গত মৌসুমেও পাটের দাম ভালো ছিল। তবে পানির অভাবে জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন চাষিরা। এবার আশানুরূপ বৃষ্টি হওয়ায় ও বন্যার কারণে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়েননি চাষিরা। তাই বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে না। এসব কারণে মাধবপুরে এবার পাটচাষিরা আশাবাদী। তবে আশঙ্কাও রয়েছে। মাহামারি করোনাভাইরাসের কারণে, জন জীবন যখন থমকে গেছে ঠিক এই মুহূর্তে কঠোর পরিশ্রমে উৎপাদিত সোনালি আশেঁর ন্যায্য মূল্য নিয়ে সংকায় কৃষক। মধ্যস্বত্বভোগী ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের (অসাধু চক্র) কারণে পাটের বাম্পার ফলনের পরও ন্যায্যমূল্য পাওয়ার পূর্ণ নিশ্চয়তা নেই। দাম যদি কমে যায় তবে চাষিদের অনেক লোকসান গুনতে হবে।