,

মাধবপুরে মসজিদ স্থানান্তর নিয়ে দু পক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

হামিদুর রহমান :  হবিগঞ্জের মাধবপুরে বহরা ইউনিয়নের রসুল পুর জামে মসজিদ স্থানান্তর নিয়ে দু পক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৫ ইং সালে নিরদা সুন্দরীর তার পৈত্রিক সম্পত্তি ২৭০ এবং ২৬৬ নং দাগের এর ৫১ শতক ভুমি হতে ৪২ শতক ভুমি রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ জহিরুল ইসলামের নামে বিক্রয়মূলে দলীল করে হস্তান্তর করেন । হস্তান্তরিত একই দলীলে নিরদা সুন্দরী উল্লেখ করেন তার আরও ৯ শতক ভুমি রয়ে গেছে। পরবর্তীতে সৈয়দ জহিরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার সন্তান সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম ১৯৮৭ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারী ১০৫৯ নং দলীলের মাধ্যমে ২৭৩ এবং ২৭৪ দাগ নং থেকে ৫শতক ভূমি
রসুলপুর জামে মসজিদের নামে দান করেন। যাহা পরে ভুমি জরিপে দানকৃত ভূমি সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম তার নিজের নামে পর্চা করে ফেরত নিয়ে গিয়েছে বলে জানান রসুলপুর গ্রামবাসী। তখনই দেখা দেয় মসজিদের ভুমি নিয়ে মূল রিরোধ । আস্তে আস্তে
বেরিয়ে আসতে থাকে সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম কর্তৃক মসজিদের নামে দান করা ভুমির মূল মালিক রসুলপুর গ্রামের নগরবাসী সূত্রধরের স্ত্রী নিরদা সুন্দরী । তখন রসুলপুর জামে মসজিদের মুসল্লীরা জানতে পারে বর্তমানে যেখানে রসুলপুর জামে মসজিদটির অবস্থান রয়েছে সেই ভুমির দাগনং ২৬৬ । যাহার মূল মালিক রসুলপুর গ্রামের নিরদা সুন্দরী নামের একজন সনাতন ধর্মালর্ম্বী। রসুলপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী শাহীন জানান, মসজিদের ভুমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে আমরা গ্রামবাসী সৈয়দ মুজিবুল ইসলামের সাথে একাদিক বার সালিশ বৈঠক করি। বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় আমরা গ্রামবাসী সীদ্ধান্ত গ্রহণ করি মসজিদের জন্য
সৈয়দ মুজিবুল ইসলাম পূণরায় তার নিজস্ব সম্পত্তি দান করতে হবে।অন্যতায় আমরা কেউ সনাতন ধর্মালম্বী নারীর দখলী জায়গায় নির্মিত এই মসজিদে নামায পড়বো না । গত এক মাস যাবত আমরা কেউ এই মসজিদে নামায পড়ি না। গত ২৫ শে জুন
গ্রামবাসী সীদ্ধান্ত গ্রহণ করি আমরা মসজিদটি স্থানান্তর করবো পাশ্ববর্তী ভূমিতে সেই মর্মে আমরা লিখিত রেজুলেশন করি। পাশ্ববর্তী ভূমি আমরা গত ১৪ জুলাই ২০২০ ইং ২৬৫৫ নং দলীলের মাধ্যমে আমার পিতা হায়দর আলী ১৪ শতক ভূমি রসুলপুর জামে মসজিদের নামে ওয়াকপ(দান) করেন। গত ১০ জুলাই (শুক্রবার) মসজিদ স্থানান্তর করে পূর্ণমসজিদ প্রতিষ্ঠিত করেছি।

এ ব্যাপারে মসজিদের ভূমি দাতা রসুলপুর গ্রামের মজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবপুর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন প্রায় ৪০ বছর পূর্বে এলাকার জনসাধারণ নামাজ এবাদত করার স্বার্থে ৫ শতক
জমির উপর এলাকাবাসীর সম্মিলিতভাবে রসুলপুর জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। গত শুক্রবার বাদ জুমা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বেশ কিছু টিনশেড মসজিদের দেয়াল ভেঙ্গে টিনের চালা সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য প্রয়াত নিরদা সুন্দরীর ওয়ারিশ
হিসাবে তার সমস্ত সম্পত্তির ওপর নারায়ণ সূত্রধর প্রকাশ আঃ সহিদ ২০১৯ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বর্তমানে যাহা বিচারাধিন।
এ ব্যাপারে বহরা ইউ/পি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান বলেন,বিষয়টি অত্যান্ত জটিল এবং ধর্মীয় বিষয় হওয়ায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে একটি সুন্দর সমাধান করা চেষ্টা করছি।
মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আঃ কাইয়ূম বলেন খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । উভয়পক্ষকে কোন রকম শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যে বলা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর