,

বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে আতঙ্কে বানিয়াচংয়ের মাকালকান্দি গ্রামবাসী

সলিল বরণ দাশ ॥ বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে আতঙ্কে নবীগঞ্জ-মার্কুলি সঞ্চালন লাইনের বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের মাকালকান্দি গ্রামবাসী। মাকালকান্দি, বাগাতা, চক বাজারের উপর দিয়ে যাওয়া সঞ্চালন লাইনের ১টি বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ছে। যে কোনো সময় তার ছিঁড়ে খুঁটিটি ভেঙে পরতে পারে। আর সেটি হলে একদিকে যেমন সরকারের টাকা অপচয় হবে অন্যদিকে প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চললেও বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয়রা জানান ৫ বছর আগে নবীগঞ্জ-মার্কুলির সঞ্চালন লাইন থেকে বিদ্যুতায়িত হয় মাকালকান্দি গ্রাম। স্থাপন করা বিদ্যুৎতিক কয়েকটি খুটিরটি খুটি কয়েক মাস আগে হেলে পড়ে। পরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কয়েক মাস ধরে খুটিটি এই অবস্থায় হেলে রয়েছে। এই সঞ্চালন লাইনের উপর দিয়ে প্রতিদিন হাওর অঞ্চল বেষ্টিত গ্রামের মানুষ জন মাকালকান্দি মূল গ্রাম থেকে নয়া হাটিতে নৌকা নিয়ে আসা যাওয়া করে। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ছোট নৌকা, ইঞ্জিনচালিত নবীগঞ্জ ও বানিয়াচংগামী বিভিন্ন নৌকা ও মাছ ধরা নৌকা সহ বিভিন্ন ধরনের অর্ধ শতাধিক নৌকায় প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি মানুষ চলাচল করে। কৃষি জমি ও হাওর রা বাঁধের পাশে এই বিদ্যুতের খুঁটি পানিতে নিমোজিত থাকায় গোড়ার মাটি সরে হেলে পড়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে সঞ্চালন লাইনের বিদ্যুতের তারের উপর দিয়ে বিভিন্ন কাজে হাওরে যেতে ভয় পাচ্ছে গ্রামের কৃষকরা। কেননা কোন কারণে যদি বিদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে পড়ে তবে বড় ধরনের প্রানহানীর আশংঙ্কা থাকবে। এই আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা ভয়ে ভয়ে নৌকা নিয়ে হাওরে কাজ করতে যায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাকালকান্দির পূর্বহাটি ও নয়া হাটির মাঝ বরাবর যাওয়া সঞ্চালন লাইনের নয়াহাটির গৌরাঙ্গ দাশের বাড়ির সামনের খুটিটি সহ গ্রামের গুদারা ঘাটের পাশের সঞ্চালন লাইনের তার নিচের দিকে নেমে পড়েছে। এদিকে বিদ্যুতের খুঁটি মারাত্মকভাবে হেলে তার টান হয়ে রয়েছে। যেন মন হয়ে কখন না তার ছিঁড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় সাধারণ মানুষ ও গবাদিপশু। হেলে পড়া বৈদ্যুতিক খুটির সামনের বাড়ীর বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের মাকালকান্দি গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাশ (৫৫) বলেন, নৌকা চালিয়ে চালিয়ে প্রায় প্রতিদিন এই পথে আমাকে ও আমার পরিবার নিয়ে চলাচল করতে হয়। কিন্তু এখন ঝুঁকিপূর্ণ ০১টি বিদ্যুতের খুঁটির কারণে আমাদেরকে ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়। কেন না কখন যে খুঁটিগুলো ভেঙে নৌকার উপরে পরে যায়। এ ভয়ে থাকি। ঝুঁকিপুর্ণ এ খুঁটিগুলোর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ওপরের দিকে তাকিয়ে থেকে রাস্তাটি পার হয়ে যেতে হয়। কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদ আলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো হেলে পড়ার বিষয়টি আমি বানিয়াচং বিদ্যুৎ অফিসকে জানিয়েছি যে খুটটি যেকোন সময় ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা বলেছে কয়েকদিনের মধ্যে তারা এসে বিদ্যুতের খুটিটি মেরামত করে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। এ বিষয়ে বানিয়াচং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম ইশফাক রায়হান বলেন বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অতি শীঘ্রই আমি লোক পাঠিয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করে ওখানকার হেলে পড়া খুঁটিটি উত্তোলন করে পূনরায় সোজা করে স্থাপন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর