,

যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে কপিলের পদত্যাগ, নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে নির্যাতিত নিপীড়িত ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে কালো টাকার বিনিময়ে লন্ডন প্রবাসী জনৈক নেতাদের মদদে নবীগঞ্জ পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নব-গঠিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন মোঃ কপিল মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নবীগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রদল নেতা মোঃ কপিল মিয়া। এ সময় লিখিত বক্তব্যে কপিল অভিযোগ করে বলেন, প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বন্ধুগণ আমি মোঃ কপিল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে ও বাংলাদেশের তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট আগামীর রাষ্ট্রনায়েক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছি। দলীয় সকল কর্মসূচি সম্মানের সাথে পালন করছি। দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলা মামলা জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছি। দলের এই দুর্দিনে রাজপথে থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে রয়েছি। এরই প্রেক্ষিতে ০১-০৯-২০২০ইং তারিখে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী বিদেশীদের মদদে কালো টাকার বিনিময়ে ছাত্রদলের নির্যাতিত নিপীড়িত ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে অছাত্র আওয়ামীলীগ অনুসারী ব্যক্তিদের দিয়ে নবীগঞ্জ পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করে। আমি মনে করি এতে করে দলের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন হয়েছে। ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের অধিকার থেকে। আমি ঐ সকল নেতাকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলাম। তবে আমি আমার দলের সকল কর্মসূচি পালনে অতীতে যেমন কাজ করেছি আগামীতেও দেশ নায়েক তারেক রহমানের নির্দেশে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবো ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সম্মানিত সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী এহেনভাবে মনগড়া কমিটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে কালো টাকায় বিক্রি হওয়া আওয়ামীলীগের অনুসারীদের দিয়ে নব-গঠিত নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের এই কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। সেই সাথে হবিগঞ্জ জেলা এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আহবান করছি কালো টাকার বিনিময়ে এই প্রশ্নবৃদ্ধ কমিটি বিলুপ্ত করে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে নবীগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদনের আহবান করছি।


     এই বিভাগের আরো খবর