,

নবীগঞ্জে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে এক সন্তানের জননীকে ৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ

সংবাদাতা ॥ নবীগঞ্জে কুরির প্রলোভন দেখিয়ে এক সন্তানের জননীকে ৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর ঢাকা গার্মেন্টেসে পাঠানোর কথা বলে ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দিস্থ আরিফ হোটেলে রেখে কৌশলে ফেলে চলে যায় ধর্ষকরা। পরে ঐ গৃহবধূ অন্য একজনের ফোন থেকে স্বামীকে কল দেয়। এ সময় স্বামী ঘটনাস্থলে এসে তার স্ত্রী ও ৪ বছরের শিশু সন্তানকে উদ্ধার করেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধষিতা গৃহবধূ জানান, গত ৮ অক্টোবর কুর্শি ইউনিয়নের গোলডুবা গ্রামের জনৈক কাচা মিয়ার পুত্র সেবুল মিয়া (২৫) ও ফিরোজ মিয়ার পুত্র জিবু মিয়া (২৫) মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে চাকুরী দিবার কথা বলে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের নির্যাতিতা গৃহবধুকে ৪ বছরের কন্যা সন্তানসহ একটি সিএনজি যোগে কুর্শি ইউনিয়নে গোলডুবা গ্রামে সেবুল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়া যায়। সেখানে নিয়ে দিন রাত ধর্ষণ করে সেবুল ও জিবু মিয়া। এদিকে গৃহবধূকে বাড়িতে এসে না পেয়ে তার স্বামী বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। কোথায়ও না পেয়ে গত ১১/১০/২০২০ইং তারিখে নবীগঞ্জ থানায় একটি জিডি (সাধারন ডায়রী) করেন। পরদিন সোমবার দুপুরে সেবুল ঐ গৃহবধূকে ঢাকায় চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দি হীরাগঞ্জ মধ্য বাজার আরিফ হোটেল নিয়ে আসে। পরে তাকে সেখানে রেখে কৌশলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে তাদের না পেয়ে ঐ গৃহবধূ অন্য একজনের মোবাইল ফোন দিয়ে কল দিয়ে সব খুলে বলে তার স্বামীকে। এ সময় তার স্বামী ঘটনাস্থলে এসে তার স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধার করে গোলডুবা গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে বাড়ি-ঘর ও যে বিচানায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তা তার স্বামীকে দেখায়। এ সময় ধর্ষক কাউকে পাওয়া যায়নি। নির্যাতিতা নারী জানান, ধর্ষকদের সহযোগীতা করেছেন জনৈক এক মহিলা। পরে স্বামী তার স্ত্রীকে নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পরে নির্যাতিতা নারীকে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান জানান, এ ঘটনার কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


     এই বিভাগের আরো খবর