,

নবীগঞ্জে অন্যকে ফাসাতে গিয়ে নিজেরাই ধরাশায়ী, এলাকায় সমালোচানার ঝড়

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর (ফাদুল্লা) গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাসানোর জন্য নিজেরাই একটি ঘটনার নাটক সাজিয়ে অপ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নিজেরাই ফেসে যাচ্ছেন। এমন নাটকীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার স্থানীয় চায়ের দোকানে চলছে আলোচনা সমালোচনা ঝড়। আহত সূত্রে জানাযায় উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর (ফাদুল্লা) গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র হাম্মদ মিয়া (২৬) গত রবিবার রাতে দৌলতপুর কাপ্তান মিয়া (সাবেক মেম্বার) এর বাড়ীর সামনে রাতে আধারে নির্জ্জন জায়গায় একদল দূর্বত্তরা তার উপর হামলা করে। পরে আহত হাম্মদ মিয়ার শোর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর তার ভাগিনা আলীম উদ্দিন আলীম তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডিতে তাদের গ্রামের পূর্ব বিরোধী কয়েকজন লোকের নাম দিয়ে ফেইসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট করে। পোষ্ট করার পর এলাকার লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামে এ বিষয় নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন পৃথক পৃথক ভাবে গ্রামের মানুষদের ডেকে এনে বিষয়টি অবহিত করেন। আলীম উদ্দিন তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন সুলেমান মিয়া ও তার আত্বীয় স্বজনেরা গত রবিবার (১১ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে আলীম উদ্দিন আলীম, এফ এফ জুয়েল খান, সিলেটি পোয়া জসিম উদ্দিন নামক এই ফেইসবুক আইডি গুলো থেকে যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস করা হয়। আলীম উদ্দিন আলীম, এফ এফ জুয়েল খান, সিলেটি পোয়া জসিম উদ্দিন নামক ফেইসবুক আইডি গুলো থেকে স্ট্যাটাস থেকে আলীম উদ্দিন আলীমের স্ট্যাটাসটি হুবহুব তুলে ধরা হলো (নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউপি মথুরাপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিন এর ছেলে আমার মামা মুহাম্মদ হাম্মদ মিয়া আউশকান্দি থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বারিত আসার পতে আমাদের পাসের গ্রাম দৌলতপুর এ দূঘটনা ঘটে ঘটনা কারি মথুরাপুর গ্রামের সুলেমান ও তার আতীয় স্বজন মিলে এ দূঘটনা ঘটায়, ঘটনার তারিখ ১১/১০/২০২০) এমন ই পোষ্ট দেখা গেছে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। ফেইসবুকে সুলেমান মিয়াসহ সকল বিস্মিত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানাযায়, ওই রাতে কে বা কারা হাম্মদ মিয়ার উপর হামলা করেছে তা গ্রামের কোন লোকজন দেখেন নাই বা কাউকে ছিনতে পারেন নাই। ঘটনার খরর শুনে তারা সেখানে গিয়ে তাদের গ্রামের কাউকে পাননি। এলাকার লোকজনের দাবি সুলেমান মিয়ার পরিবারের সাথে একই গ্রামের হাম্মদ মিয়ার পরিবারের লোকজনের সাথে দীঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে তাদের দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। গ্রামবাসীর ধারনা তাদের পূর্ব বিরোধের কারনেই সুলেমান মিয়ার নাম দিয়ে এমন মিথ্যাচার অপ-প্রচার করা হচ্ছে। সুলেমান মিয়া গ্রামে একজন ভদ্রলোক হিসাবে (প্রবাসী) মানুষ হিসাবে পরিচিত। স্থানীয় ইউপি সদস্য খসরু মিয়া বলেন, ঘটনার এক ঘন্টা পর লোক মাধ্যমে ফোনে খবর পেয়ে হাম্মদ মিয়ার বাড়িতে যাই। গিয়ে জানতে পারি তার চোখে কাপড় বেধে হামলা করা হয়। সুলেমান মিয়ার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে ভালো প্রকৃতির লোক বটে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকবে বলে আমি মনে করি না। তবে তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। এলাকার স্থানীয় অনেকেই বলেছেন সুলেমান মিয়ার সাথে হাম্মদ মিয়ার পরিবারের লোকজনের সাথে পূর্ব বিরোধ চলে আসছে তবে ওই দিনের ঘটনার সাথে সুলেমান মিয়া গংরা জড়িত নয় তাদের বিরুদ্ধে আক্রোশ মূলক ষড়যন্ত্র। এলাকার লোকজনের দাবি এই ঘটনার সাথে জড়িত যারা তার সঠিক তথ্য উদঘাটন করে সু বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর