,

নবীগঞ্জে মালিকানা ভূমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঈদগাহ নির্মাণ কাজ করায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা আউশকান্দি বাজারে ব্যক্তিগত আক্রোশে ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মালিকানা জায়গাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঈদগাহ নির্মাণ কাজ করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, উপজেলার আউশকান্দি বাজারে মাদ্রাসার নিকটে আউশকান্দি, উলুকান্দি, মিঠাপুর, দৌলতপুর ও রায়পুরসহ ৫ গ্রামের মানুষ প্রায় ৫০ বছর আগে ঈদগাহ নির্মাণ করেন। এর পর থেকে ওই প্াচ গ্রামের মানুষ উক্ত ঈদগাহতে নামাজ পড়ে আসছেন। ইদানীং প্রায় বছর খানেক ধরে ওই পাঁচ মৌজার পক্ষ থেকে চাঁদা তুলে নতুন ঈদগাহ নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয় এবং অনেক টাকা পয়সাও সংগ্রহ করা হয়। এ অবস্থায় উক্ত ঈদগাহর জায়গার নিকটে অন্য মালিকানা জায়গার মালিককে না জানিয়ে ঈদগাহ কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজ মিয়া তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশে আক্রোশানিত হয়ে জোর পুর্বক কাজ করার পায়তারা শুরু করেন। এ ঘটনায় ভুমির মালিক শিরিন আক্তার বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে ২০১৯ইং সনের ১৫৬নং স্বত্ব মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত ঈদগাহ নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বিগত ১৩/১০/২০১৯ইং। এর পর কিছু দিন কাজ বন্ধ থাকে। এভাবে কয়দিন কাজ বন্ধ থাকে আবার কয়দিন পর কাজ শুরু হয়। এ অবস্থায় আদালত বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৩/০২/২০২০ইং এড. মশিউর রহমানকে কমিশন নিযুক্ত করেন। কমিশন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে বিবাদী পক্ষ গত ২৭/১০/২০২০ইং তারিখে আদালতে উপস্থিত হয়ে কাজ করিব না ভবিষ্যৎতেও কাজ করিবনা বলে অঙ্গিকার করে আসেন। কিন্তু তার পরেও কাজ থেমে নেই। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বে ও বিবাদীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত আক্রোশে ধর্মীয় একটি প্রতিষ্ঠানে এ রকম একটি ঘটনা সৃষ্টি করায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অন্যের জায়গা নিয়ে আমাদের ঈদগাহ নির্মাণ করার দরকার কি। আমাদের যত টুকু জায়গা আছে তাতেই ঈদগাহ নির্মাণ করলে অসুবিধা কি হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদী শিরিন আক্তারের স্বামী স্থানীয় মেম্বার মোঃ হাছান আলী উস্তার বলেন, ধর্মীয় একটি প্রতিষ্ঠানে যদি কমিটির পক্ষ থেকে আমাদের জায়গা চেয়ে নিতো তাহলে আমরা এই প্রতিষ্ঠানের নামে দিয়ে দিতাম। কিন্তু কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজ মিয়া আমার সাথে ব্যক্তিগত আক্রোশে জোর পুর্বক জায়গা নিতে চায় এবং আমার সাথে খারাপ আচরণ করায় আমরা আমাদের সত্ব আদায়ের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি।


     এই বিভাগের আরো খবর