,

হবিগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারে টমটম (ইজিবাইক) স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে আটককৃতদেরকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সদর থানার এসআই হারুন আল রশিদ বাদি হয়ে ৬৪ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে অপ্সাত আরও ২ থেকে ৩শ জনকে আসামি করে গতকাল শুক্রবার এ মামলা করেন। আটকরা হলো, উমেদনগর গ্রামের ইকবাল মিয়া, শাহ আলম, শ্রাবণ আহমেদ, রিয়াদ হাসান।গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দোকানপাট ভাংচুর ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রাবার বুলেট, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় ওই এলাকার নাজমুল হকসহ ১০ জনকে আটক করা হয়।
জানা যায়, শহরের চৌধুরী বাজারের একটি টমটম স্ট্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপে উত্তেজনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। রামপুর থেকে সাতগ্রাম সড়কের মধ্যে চলাচলরত টমটম ইজিবাইক শ্রমিকদের দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন শেখ হান্নান ও অপর গ্রুপের মোক্তার হোসেন।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উল্লেখিত সংখ্যক লোক আহত হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তারেক মিয়া (২০), এবাদুর রহমান (২০), মোতাব্বির (২৫), শান্ত মিয়া (২১), রোমান মিয়া (২২), কামরুল মিয়া (২২), মাসুম (২৭), তানভীর (৩২), আরিফ (২৫), মোশাহিদ (২০), ইমন আহমেদ (২৫), তোরাব আলী (২৫), সাব্বির (২৫), ফয়ছল (২০), ফয়ছল (২৭), জুলহাস (৩০), সাইফুল (২০), তাজুল (২০), মধু মিয়া (৬৫), কয়সর মিয়া (২০), ছমেদ (২৫), রশিদ (৪৫), সেকুল (৩০), মামুন (৩০), মুকিত (৪০) ও কায়েস (২০) কে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়াও টেটাবিদ্ধ কয়েকজনকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পুলিশের মধ্যে আহতরা হলেন, সদর থানার এসআই হারুন আল রশিদ, খুর্শেদ আলম, অভিজিৎ ভৌমিক, নাজমুল হাসান, সাইদুর রহমান, এসএআই সুমন চন্দ্র রায়, হাবিবুর রহমান, তোরাব হোসেন, নিজ সিংহকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার পর পুলিশ উল্লেখিতদের আটক করে। এদিকে ওই ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুর রশিদ সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে আছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক। সদর থানার ওসি জানান, এ বিষয়ে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে এবং চারজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে অপর আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।


     এই বিভাগের আরো খবর