,

বানিয়াচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাঁই

জহিরুল ইসলাম নাসিম ॥ বানিয়াচংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার রাত দেড় ঘটিকায় বানিয়াচং উপজেলা সদরে অবস্থিত স্থানীয় বড়বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। বাজারের পাহাড়াদার সুহেন মিয়া জানান ওই সময়ে মুদি ব্যবসায়ী আবু কালাম মিয়ার ঘরে প্রথমে তিনি আগুন দেখতে পেয়ে টহল পুলিশকে ফোনে অবগত করেন। খবর পেয় তাৎক্ষনিক বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও বানিয়াচং ফায়ার সাভির্সের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নবীগঞ্জের একটি ইউনিটসহ মোট ৪টি ইউনিটিটের প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। কিন্তু এরই মধ্যে খালেদ মিয়ার ইবনেসিনা ফার্মেসী ও আবুল হোসেনের ফার্মেসী, আলমগীর মিয়ার, আবু কালাম মিয়া, মোঃ সাইফ মিয়া, সুমন মিয়া, দুলাল মিয়া, নাজমুল মিয়া ও মহসিন মিয়া মুদির দোকান, জাহাঙ্গীর মিয়া, লাল মিয়া ও নাহিদ মিয়ার পানের দোকান, লিটন মিয়ার ডিমের দোকান, আলমগীর মিয়ার একটি গুদামসহ ১৪টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ৪টি ইউনিটের ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নিয়ে প্রায় দেড়ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান বড়বাজারের পাহাড়াদারের মোবাইল ফোন পেয়েই বানিয়াচং, হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে তাৎক্ষনিক থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসি। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট, পুলিশ ও স্থানীয় জনতার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।
এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। তিনি জানান আগুনে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে আগুনে পুড়ে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নির্ধারনের কাজ শুরু করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর