,

ফাইল ছবি

সরকারি কর্মকর্তারা বরাদ্দের বাসায় না থাকলে ভাতা বাতিল: প্রধানমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ বরাদ্দ পাওয়ার পর যে সকল কর্মকর্তারা সরকারি বাসায় বসবাস করেন না তাদের বরাদ্দ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব কর্মকর্তার বাসা বাবদ ভাতা বাতিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একনেক চেয়ারপারসন হিসেবে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সরকারের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির ফলে আনুপাতিক হারে যে অর্থ সরকারে কেটে রাখে তার তুলনায় কম টাকায় বাসা ভাড়া পাওয়া যায়। এ কারণে অনেক কর্মকর্তা সরকারি বাসায় না উঠে ভাড়া থাকছেন। অথচ সরকারি বাসা খালি পড়ে থাকে। এভাবে সরকারি বাসা বিনষ্ট হচ্ছে। একনেক বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সভার কার্যক্রমে অংশ নেন। সভায় মন্ত্রীপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা প্রসঙ্গে আসাদুল ইসলাম বলেন, উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) নির্মাণ ব্যয়ের কেনাকাটায় ব্যয়ের লাগাম টানতে রেট সেডিউলে অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরো প্রিপেইড মিটার দিতে হবে। শিল্প এবং আবাসনে সব গ্রাহককে দ্রুত এই সুবিধার আওতায় আনতে হবে। স্থাপনা উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বলেছেন, সব উপজেলার নিজস্ব একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। এতে সব উপজেলার নিজস্বতা থাকবে। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও নিজস্ব মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিন হাজার ৩০৮ কোটি টাকার ৫ প্রকল্প অনুমোদন: একনেক বৈঠকে পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পে ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে তিন হাজার ৩০৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এই ব্যয়ে সরকারের অর্থায়ন এক হাজার ২৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বাকি দুই হাজার ৪২ কোটি ৮ লাখ টাকা বিদেশি ঋণ। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধিত), নরসিংদী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, খুলনা শহরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ (১ম সংশোধিত), মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রমীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।


     এই বিভাগের আরো খবর