,

নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল পরিবর্তন -সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগ

এম.এ মুহিত ॥ নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনরায় নির্বাচন দেয়ার দাবী জানিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ। গতকাল রবিবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী (নৌকা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পৌর নির্বাচনে যখন নৌকার গণজাগরণ, চারিদিকে শুধু নৌকার জয় গান উঠে, ঠিক তখনি পৌরসভা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অত্যান্ত সু-পরিকল্পিত ভাবে সূক্ষ্ম কারচুপি ও গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরীকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বিএনপির প্রার্থীর আত্মীয় স্বজনকে পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা সূক্ষ্ম কারচুপি ও সু-পরিকল্পিতভাবে নহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ফলাফল পরিবর্তন করে বিএনপির প্রার্থীকে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী করা হয়। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখা নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন-২০২১-কে প্রত্যাখ্যান করলাম। সেই সাথে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটের রায় প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচন দেয়ার দাবী জানাচ্ছি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ গুল আহমদ কাজল ও লোকমান আহমদ খান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নহরপুর কেন্দ্রে নৌকার ৯ শত ৯২ ভোট এবং ধানের শীষের ৬ শত ৬৯ ভোট ঘোষনা করা হয়। পরবর্তীতে নৌকার এজেন্টের নিকট ফলাফল সীট না দিয়ে তড়িগড়ি করে প্রিজাইডিং অফিসার সঙ্গীয় লোকদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কন্টোল রুমে এসে ফলাফল উল্টে দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর