,

নরেন্দ্র মোদির এবারের সফর শুধুই উদযাপনের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এবারের সফর হবে শুধুই উদযাপনের। এ সফরের সময় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো তুলতে চান না। শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে এডুকেশন এক্সপোতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় আসছেন, এটাই অনেক আনন্দের খবর। শুধু তিনি নন, তার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার আরও চারজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এ মাসেই ঢাকায় আসছেন। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও আসছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক হবে কি-না জানতে চেয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ড. মোমেন বলেন, মোদির এই সফরে যারা এমওইউ হবে কি-না জানতে চান, তারা ‘ইল এলিমেন্ট’। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসছেন, এশিয়ার আরও চার দেশের শীর্ষ নেতা আসছেন- এটাই তো সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমাদের উৎসবে অত্যন্ত সম্মানিত অতিথিদের পেয়েই আমরা আনন্দিত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বড় বড় অনেক সমস্যা এর আগে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। এখনও যেসব বিষয় আছে, সেগুলোও আলোচনার মাধ্যমে আস্তে আস্তে সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে যে সফর, সেখানে এসব বিষয় আলোচনা যুক্তিযুক্ত নয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সফরকালে শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও একাধিক জায়গায় যাবেন। তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে এবং সাতক্ষীরা ও ওড়াকান্দি যাবেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, যেসব দেশের রাষ্ট্র কিংবা সরকারপ্রধানরা আসছেন না, তারাও বার্তা পাঠিয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী বার্তা পাঠিয়েছেন। তাদের বার্তার মূল মর্ম হচ্ছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তারা আমাদের সঙ্গে আছেন এবং সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপনকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর