,

শিল্পবর্জ্যের কবল থেকে কৃষি জমি রক্ষায় মাধবপুরে মানববন্ধন

সংবাদদাতা ॥ প্রায় ১ যুগ ধরে হবিগঞ্জ অঞ্চলে শুরু হওয়া শিল্পায়নের প্রক্রিয়ায় এই অঞ্চলের নিম্নভূমিতে শিল্পবর্জ্য দূষণ বেড়েই চলেছে। কৃষি জমিতে কারখানাসহ কোনরূপ স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও এখানে তাই হচ্ছে। ফলে প্রতিবছর আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে কৃষি জমির পরিমাণ। কাজেই শিল্পবর্জ্যের দূষণ রোখার পাশাপাশি কৃষিজমি রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে। সোমবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলার শাহ্পুর নতুন বাজারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও স্থানীয় গ্রামবাসী আয়োজিত ‘পরিবেশ ও জীব বৈচি্র্যু রক্ষা কর, শিল্পবর্জ্যের কবল থেকে কৃষি জমি বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আহ্বানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশকর্মী মো. আবদুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মূল আলোচক ছিলেন বাপা জাতীয় কমিটির সদস্য, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল। বক্তব্য রাখেন, বাপা হবিগঞ্জের যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকী হারুন, এলাকাবাসীর পক্ষে শামীম আহমেদ, জামাল মো. আবু নাসের, সাবেক জনপ্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন, মো. এখলাছুর রহমান, মাওলানা সাদেকুর রহমান, জসিম উদ্দিন প্রমুখ। তোফাজ্জল সোহেল তার বক্তব্যে বলেন, এই এলাকায় অনেক শিল্প-কারখানা স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু অনেক কারখানাতেই ‘উৎসে বর্জ্য পরিশোধন’ ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়ায় ব্যাপক পরিমাণে শিল্পবর্জ্যদূষণ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা শুরু থেকেই শিল্প-কারখানার উৎসে বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং সুষ্ঠু শিল্পায়নে প্রয়োজনীয় ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলে আসছি। কিন্তু পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র রক্ষার ক্ষেত্রে অপরিহার্য নদ-নদী, বনাঞ্চল তথা প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা নজরে পড়ছেনা। এছাড়া কৃষিজমিতে শিল্প স্থাপনের ফলে কৃষি জমি ধংস হচ্ছে। কৃষি জমি ধ্বংস হওয়া ঠেকাতে হবে। অপরিকল্পিত শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার চলমান প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে ব্যাপক পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর