,

কঠোর লকডাউনে নবীগঞ্জে পশুর হাট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে মহামারি করোনার কবল থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষনা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। গত দু’দিন ধরে সেনাবাহিনীর, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন লকডাউনের আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অর্থদন্ড দেয়া হচ্ছে। সকল প্রকার সভা সমাবেশ, দোকানপাঠ খোলা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজারে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বসানো হয়েছে বিশাল পশুর হাট। এতে মাস্ক বিহীন বিপুল মানুষের উপছে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ফলে করোনা সংক্রামনের ঝুকিঁ রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার দিনারপুর জনতার বাজার পশুর হাট উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চলছে। দেশে মহামারি করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ ধারন করায় সরকার গত ১লা জুলাই থেকে সারা দেশে ৭ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষনা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি সদস্যরাও মাঠে নামেন। গত দু’দিন ধরে নবীগঞ্জ সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে লকডাউনের বিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। হোটেল গুলোতে বসে খাবার গ্রহন না করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। অথচ জনতার বাজার পশুর হাটে মাস্ক বিহীন হাজার হাজার মানুষের সমাগমে প্রশাসনের কোন ভুমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আতংকে রয়েছে ওই অঞ্চলের লোকজন। উক্ত পশুর হাটে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পশু কেনা বেচার জন্য লোকজনের সমাগম ঘটে। মাস্ক বিহীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নিকটে এমন পশুর হাট বসানোর ফলে করোনা সংক্রামন বৃদ্ধির মারাত্মক ঝুকিঁ রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহি উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাজার পরিচালনার জন্য বলা হয়েছে। কি কারনে তা মানা হচ্ছেনা তা খতিয়ে দেখবেন বলেও তিনি জানান। পরে বিকেলে আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) উত্তম কুমার দাশ সরজমিনে গিয়ে গরুর হাট বন্ধ করেন। এ সময় তিনি চলমান লকডাইন বাস্তবায়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর