,

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে ঝুঁকি বেড়েছে মানব পাচারের

সময় ডেস্ক ॥ করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানব পাচারের ঝুঁকি বেড়েছে। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো বলেছেন, কর্মসংস্থান হ্রাস, জীবিকা নির্বাহের সীমিত উপায় এবং দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে মানব পাচারের ঝুঁকি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) আয়োজিত ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন মিয়া সেপ্পো। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ওয়েবিনারে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী এবং সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের প্রধান অধ্যাপক ইশরাত শামীম। আগামী ৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ক্ষতিগ্রস্তদের কণ্ঠস্বর পথ দেখায়’। অর্থাৎ মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের দুঃসহ অভিজ্ঞতা তুলে সমাজকে সচেতন ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মানব পাচার একটি মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন। পাচার রোধে সরকার শূন্য সহনশীলতা নীতি নিয়েছে। এ ভয়াবহ অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে সব অংশীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। মিয়া সেপ্পো বলেন, মানব পাচারের মূল কারণগুলো তীব্র হয়েছে। আবার সাম্প্রতিক খবরের দিকে নজর দিলে দেখা যাচ্ছে, পাচারকারীরা মানব পাচারের সম্ভাব্য শিকারদের প্রলুব্ধ করতে টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনের (বিডিইউএনএনএম) সমন্বয়ক এবং আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, মানব পাচার বন্ধে সরকার, উন্নয়ন অংশীদারসহ সবাইকে সম্মিলিত ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতিসংঘের মানব পাচারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার সিউবহান মুলালি বলেন, করোনাকাল পাচারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ওয়েবিনারে বিডিইউএনএনএম, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। মানব পাচারের শিকার হয়ে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।


     এই বিভাগের আরো খবর