,

আজমিরীগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পানিবন্দি সমস্যার সমাধান

আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের পানিবন্দি আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটি ফেলে উঁচু করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে পানিবন্দি ৪৪টি পরিবারের মধ্যে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, আশ্রয়ন প্রকল্পে মাটি ফেলে এতটাই উঁচু করে দেয়া হয়েছে সেখানে বড় ধরণের বন্যা ছাড়া আর কোনভাবে পানি উঠবে না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫১টি ঘর নির্মাণ করা হয় কুশিয়ারা নদীর তীরে। তুলনামূলকভাবে নিচু জমিতে ঘর বানানোর কারণে সম্প্রতি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কিছু ঘর ও উঠোনে পানি প্রবেশ করে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন সেখানে বসবাস করা ৪৪টি পরিবার। পানি ওঠার একদিন পর প্রকল্পটি পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমী। এ সময় তিনি পানিবন্দি পরিবারগুলোকে ১০ কেজি করে চাল দেন এবং সেখানে মাটি ফেলে উঁচু করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মহিমা খাতুন বলেন, ‘ঘরের চারপাশে মাটি পালাইয়া উচা কইরা দেওয়নে আমরা সরকাররে ধন্যবাদ জানাই। এখন আর আমারার ইখন পানি উঠত না। তাছাড়া এই কয়দিন মাটি কাইট্টা আমরা টাকাও রোজী করতে পারছি।’ রেশমা বিবি বলেন, ‘সরকার আমরার লাগি অনেক কিছু করতাছে। প্রথমে ঘর দিছে। এখন পানি উডনে মাডি (মাটি) পালাইয়া উচা কইরা দিছে। আমরা অনেক খুশি হইছি। মাটি টাডার কাম করনে হাতে কয়ডা টেকাও পাইছি।’ এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পানি ওঠার পরপরই ইউএনও মহোদয়সহ আমরা পরিদর্শন করি। এ সময় সেখানের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। এখন ওই জায়গাটিতে মাটি ফেলে উঁচু করে দেয়া হয়েছে। আশা করি এখন আর পানি উঠবে না।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালেহা সুলতানা সুমীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও পিতৃবিয়োগের কারণে তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


     এই বিভাগের আরো খবর