,

নবীগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ॥ আদালতে মামলা, মাতব্বর কর্তৃক ইজ্জতের মুল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো বোন ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় মাতব্বরগণ এ ঘটনায় শালিস বিচার করে ইজ্জতের মুল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে রায় প্রদান করেন। উক্ত রায় প্রত্যাখ্যান করে ওই স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে গত সোমবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ঘটনাকারী মোর্শেদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ওসি নবীগঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছেন। জানাযায, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সমরগাঁও গ্রামের মৃত আপ্তাব মিয়ার বকাটে ছেলে মোর্শেদ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার স্কুল পড়ুয়া চাচাতো বোন সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী একই গ্রামের মৃত সমসর মিয়ার মেয়েকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে, এমনকি বাড়িতে একা পেয়ে উত্যক্ত করতো। ঘটনাটি ওই ছাত্রীর পরিবার মোর্শেদ মিয়ার বাড়ির লোকজনের নিকট বিচার প্রার্থী হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে ঘটনার কয়েক দিন আগে মেয়ের বাড়িতে এসে শাসিয়ে যায় এবং বিচার দেয়ার শিক্ষা দিবে বলিয়া হুকমী দেয়। গত ৭ সেপ্টেবর দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রীর মা, ভাই-ভাবী বাড়িতে না থাকার সুযোগে মেয়েটি ঘরে একা পেয়ে বকাটে মোর্শেদ মিয়া ঝাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ওই বকাটের সাথে মেয়েটির ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে মোর্শেদ মেয়েটিকে আঘাত করে। মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এবং তার ভাই ভাবী বাড়িতে এসে ঘটনাটি দেখে তাকে আটকের চেষ্টা কালে মোর্শেদ দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটির স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে চিৎসা করান। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারসহ এলাকার মুরুব্বীয়ান বিষয়টি আপোষে মিমাংসার উদ্যোগ নেন। মেয়ে’র অসহায় পরিবার ন্যায় বিচার পায়ার আশায় সম্মতি দেন। কিš’ অনুষ্ঠিত শালিস বিচারে ওই স্কুল ছাত্রীর উজ্জতের মুল্য ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে রায় প্রদান করেন। উক্ত রায় প্রত্যাখ্যান করে নির্যাতিত স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবার। অবশেষে ওই ছাত্রী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মোর্শেদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী বলেন, কাস সেভেন এ পড়া অবস্থায় থেকেই মোর্শেদ আমাকে উত্যক্ত করতো। তার কারনে ঘর থেকে বের হতে পারতাম না। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সে আমার ইজ্জতের উপর আঘাত করেছে। সে আরও বলে, আমরা গরীব হতে পারি টাকার বিনিময়ে ইজ্জত বেচাকিনি করতে পারি না। গ্রাম্য মাতব্বরগণ আমার ন্যায় বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা পক্ষপাতিত্যের বিচার করায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ ব্যাপারে জনৈক শালিস বিচারক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ঘটনাটি সত্য। তবে তাদের মধ্যে আত্মীয়তা বন্ধনের কারনে এমন সিদ্ধান্ত দিতে হয়েছে। মোর্শেদ মিয়ার মোবাইল নম্বারে ফোন দিলে সুইচ অফ পাওয়া যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর