,

হবিগঞ্জের মুন হাসপাতাল ও ভুয়া চিকিৎসককে জরিমানা

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জের শহরের বিভিন্ন এলাকায় আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট হসপিটাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। আর এসবের অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই। আর কারো কারো থাকলেও নেই অনভিজ্ঞ ডাক্তার, টেকনোলজিষ্ট। এরপরও তারা দেদারছে তাদের গলাকাটা ব্যবসা করছে। সাধারণ রোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দালালদের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে তাদের এখানে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের এখানে নিয়ে যাওয়ার পর মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে এসব হসপিটালকে ভ্রাম্যমান আদালত ভুয়া ডাক্তার আটকসহ বিভিন্ন কারণে জরিমানা করছেন। কিন্তু এরপরও তাদের লাগাম টানা যাচ্ছে না। গতকাল রবিবার দুপুরে শায়েস্তানগরে অবস্থিত মুন জেনারেল হাসপাতালে বিদেশে থাকা চিকিৎসকের নাম ও পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও এক চিকিৎসককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। র‌্যাব-৯ এর হবিগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই হাসপাতালে অভিযান চালায়। এ সময় চিকিৎসক তাসনিম সুলতানার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় তিনি এমবিবিএস পাস করেছেন। কিন্তু ইন্টার্নশিপ না করে অন্যজনের নাম ও পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং অনাদায়ে দুই মাসের কারাদ- দেন। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাগজপত্র যাচাই বাছাই না করে তাকে নিয়োগ দেয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগেও মুন হাসপাতাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে একজন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে কারাদ- দেন। তারপরও এ হাসপাতালে রোগীদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে র‌্যাব হবিগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার নাহিদ হাসান জানান, তাসনিম সুলতানা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকা এক চিকিৎসকের নাম-পদবি ব্যবহার করে আসছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে জরিমানা করা হয়। তাদের কাছে আরও কয়েকটি প্রাইভেট কিনিকের তালিকা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব হাসপাতালেও অভিযান চালানো হবে। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা তালিকা তৈরি করে প্রত্যেক কিনিককে চিঠি দেব এবং এসব হাসপাতালের ডাক্তারদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেব।


     এই বিভাগের আরো খবর