,

নবীগঞ্জে দুই লক্ষ টাকা কর্জ না দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৮, থানায় মামলা ॥ গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার॥ নবীগঞ্জে দুই লক্ষ টাকা কর্জ না দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ৮ জন আহত হয়েছেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে দুই লক্ষ টাকা কর্জ না দেয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ছোট আলীপুর গ্রামের মৃত হাজী মোঃ কদর উল্লার পুত্র মোঃ দবির মিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ৬ অক্টোবর ২০২১ইং সকাল ১০টায় উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারের পাশে ছোট আলীপুর গ্রামের মৃত- হাজী কদর মিয়ার পুত্র দবির হোসাইন একটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বিগত ১৫/২০ দিন পূর্বে একই ইউনিয়নের ছোট আলীপুর গ্রামের মৃত- লুদন মিয়ার পুত্র খালিক মিয়া দবির হোসাইনের নিকট দুই লক্ষ টাকা কর্জ চায়। টাকা কর্জ না দেওয়ার কারনে দবির হোসাইন ও দবির হোসাইনের আত্মীয় স্বজেনর উপর ক্ষিপ্ত হয় খালিক মিয়া গং। এরই জের ধরে সুজন মিয়া ও তারেক মিয়াকে দিয়া দবির হোসাইনের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে কাজ ছাড়া মেশিন দিয়া ডিপ টিউবওয়েল এর পানি তুলে। তখন দবির হোসাইনের ভাতিজা সোহেল মিয়া তাদের দুইজনকে অযথা পানি তুলে নষ্ট না করার জন্য বারন করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। এরই জের ধরে বড় আলীপুর গ্রামের মৃত ছমর উদ্দিনের পুত্র হায়দর মিয়া ও ছোট আলীপুর গ্রামের খালিক মিয়ার হুকুমে ছালিক মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, সুজন মিয়া, মাসুক মিয়া, নুরুজ্জামান গং লোহার রড, জি.আই পাইপ, দা, রামদাসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে সোহেল মিয়া, অলি আহমদ ও সইদুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে। আশ-পাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা প্রদান করেন। শুধু তাদের আহত করেই কান্ত হয়নি খালিক গং ওইদিন দুপুরে দবির হোসাইনের চাচাতো ভাই জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও লন্ডন প্রবাসী মুফতি মিয়া ও আব্দুল্লা মিয়া রসুলগঞ্জ বাজারের জামে মসজিদের সামনে আসামাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খালিক মিয়ার নেতৃত্বে উজ্জল মিয়া, ছালিক মিয়া, হাবিবুর রহমান, ফয়েজ উদ্দিন, মাসুক মিয়া লোহার রড, জি.আই পাইপ, দা, রামদাসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে মারধর করে গুরুত্বর আহত করে। এবং ওই সময়ে লন্ডন প্রবাসী মুফতি মিয়ার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা ছালিক মিয়া চুরি করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। আঃ জব্বার, মুফতি মিয়া ও ফখর উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর দবির হোসাইন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত রেখে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ০৯ (নবী)।


     এই বিভাগের আরো খবর