,

ইট-পাথরের শহরে বাহারি ফুল ও ফলগাছে উদ্যোক্তা জেসি রহমানের দৃষ্টিনন্দন বাগান

জাবেদ তালুকদার : ইট-পাথরের নিস্প্রাণ শহুরে নাগরিক জীবন থেকে নান্দনিক সৌন্দর্যের রূপ-লাবণ্য সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে ওঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় আবাসস্থলে। যার বাগান করার শখ থাকে তার জন্য জায়গা যেন কোন বাধাই না, সামান্য একটুখানি জায়গা পেলেও গড়ে তোলেন শখের বাগান। শৌখিন মানুষ তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় বাড়ির ছাদ, উঠান এবং বেলকনিতে বাগান তৈরি করছেন। সময়ের ব্যাবধানে এ বাগান এখন আর শৌখিনতায় সীমাবদ্ধ নেই। একটু সবুজের ছোঁয়া পেতে শহরবাসী এখন তাদের উঠান, বেলকনি এবং ছাদটি সাজাচ্ছেন বিভিন্ন গাছ দিয়ে। তাদের মধ্যেই একজন হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ এলাকার বাসিন্দা উদ্যোক্তা জেসি রহমান। বাহারি ফুল আর ফল গাছে তার বেলকনি এবং ছাদকে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলেছেন তিনি। সারি সারি টবে লাগানো এসব গাছ দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি ছাদের বাতাসেও যেন বইছে এক অন্যরকম অনুভূতি। বেলকনির বাতাসে ভাসছে ফুলের গ্রাণ।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নানা ফুল, বারোমাসি ও মৌসুমি ফলসহ প্রায় ৩৫ টি ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে তার বাগানে। এরমধ্যে রয়েছে নাইট কুইন, জিনিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রেইন লিলি, জারভেরা, হোয়াইট রোজ, রেড রোজ, কেকটাস, পাতাবাহারি, থাই জামরুল, ডালিম, আমসহ নানা ফুল ও ফলের গাছ।
বাগান সম্পর্কে আলাপচারিতায় জেসি রহমান বলেন- নিজের হাতে গড়ে তোলা এক টুকরো বাগান মনকে রাখে ফুরফুরে। আমি ছোটবেলা থেকেই ফুল গাছের প্রতি আকৃষ্ট। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তিতে যত টাকা পেয়েছি সব টাকা দিয়ে বাবার বাড়িতে ফুল গাছ লাগিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখনও বাবার বাড়িতে আমার লাগানো গাছগুলো আছে। কর্মব্যস্ততা যতই থাকুক গাছের যত্ন নেওয়া কখনোই বাদ পড়ে না। বাগানের শোভা আমার ঘর ছুঁয়ে রেখেছে। আমার বাগান আমার ঘরের মতো, আর ঘরটা আমার বাগানের মতো। এই দুইয়ের মধ্যে কখনও পার্থক্য করিনা। বাগান পরিচর্যার মতো জীবনের অন্যান্য কাজগুলোও ভালোভাবে করার চেষ্টা করি।


     এই বিভাগের আরো খবর