,

কাজী মন্নানের জামিন না মঞ্জুর ॥ হাসনাকে খুঁজছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার : জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওঃ আব্দুল মন্নান (৫০) এর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপরদিকে এ মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। জানা যায়, গত ৭ আগষ্ট রাতে শহরের পুরান মুন্সেফী এলাকার বাসা থেকে আব্দুল মন্নানকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। সে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির আব্দুর রহমান সর্দারের পুত্র। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পূর্ব মেড্ডা পাড়া এলাকার মাহমুদ হাসান সিদ্দিকী বাদি হয়ে হাসনা চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা করলে মামলাটি রুজু করার জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার আসামিরা হল, চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মুজিবুল হক চৌধুরীর কন্যা হাসনা চৌধুরী ও পুত্র সাজন চৌধুরীসহ ৬ জন। মামলার বিবরণে জানা যায়, হাসনা চৌধুরীকে কুমারি সাজিয়ে গত ১৪ জুলাই ৭ লক্ষ টাকা কাবিনও ৫ ভরি স্বর্ণ ও ১ লক্ষ টাকার বাজার দিয়ে হবিগঞ্জ শহরের আমির চাঁন কমপ্লেক্স সংলগ্ন সাম্পান রেষ্টুরেন্টে কাজী আব্দুল মন্নানসহ অন্যরা জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে দেন। বিয়ের পর বর্তমান স্বামী সিদ্দিক স্ত্রী হাসনাকে নিয়ে ঘর সংসার করা অবস্থায় তার পূর্বের স্বামী শেরপুর জেলার ফারুক তালুকদারের পুত্র লোকমান মিয়া তালুকদার হাজির হয় এবং হাসনাকে তার স্ত্রী দাবি করে। এ সময় বাদি প্রমাণ চাইলে এফিডেভিটের কপিসহ অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি দেয়া হলে বর্তমান স্বামী সিদ্দিকের বিশ^াস হয়। পরে হাসনা ও তার পিতা মুজিবুলকে জিজ্ঞাস করলে তারা সত্যতা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় সিদ্দিক বাদি হয়ে গত ৩ আগষ্ট হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর