,

নবীগঞ্জে মোবাইল ব্যবসায়ী বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এনজিও কর্মীর সর্বনাশ আদালতে মামলা

সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজার মোড়ে নিম্বর টাওয়ারস্থ মার্কেটে নুছরাত ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকম সেন্টারের মালিক রিপন আহমদ (৩২) নামের এক যুবক এক জনৈকা এনজিও কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সর্বনাশ করেছে। এদিকে বিয়ের দাবী নিয়ে উক্ত এনজিও কর্মী রিপনের পরিবারসহ সমাজপতিদের ধারে ধারে ঘুরেও কোন সমাধান না পাওয়ায় অবশেষে হবিগঞ্জ আদালতে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ওসি নবীগঞ্জকে নির্দেশ প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
প্রাপ্ত সুত্রে জানাযায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের ফজলুল হক এর ছেলে রিপন আহমদ (৩২) দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ শহরে মোবাইল সার্ভিসিং এবং মোবাইল বেচাকেনার ব্যবসা করে আসছিল। সেই সুবাধে মোবাইল মেরামত করার জন্য যাওয়া করগাঁও ইউনিয়নের মুড়ার পাটলী গ্রামের ইরফান আলীর জনৈকা মেয়ে এবং ইনডেভার এনজিও কর্মীর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে উক্ত রিপন আহমদ ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রথমে মেয়েটি তার প্রস্তাবে সায় না দিলেও শেষ পর্যন্ত রিপন আহমদের মিষ্টি কথায় ও ঘর বাধাঁর স্বপ্নে বিভোড় হয়ে প্রেমের প্রস্তাবে সায় দেয়। তাদের প্রেম প্রেম খেলা কিছু দিন যেতে না যেতেই সুচতুর রিপন দোকানের মালামালের জন্য ১ লাখ টাকা ধার নেয়। দীর্ঘদিন উক্ত প্রেমিক জুটি সিলেট, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন দর্শনার্থী স্থানে বেড়াতে যায়। এক পর্যায়ে বিগত ২৩ জুলাই দুপুরে প্রেমিক রিপন প্রেমিকা এনজিও কর্মীকে স্থানীয় টুকের বাজার তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে বলে। প্রেমিকের ডাকে সারা দিতে গিয়ে প্রেমিকা ছুটে যায় তার ওই আত্মীয় হালেমা বেগমের বাড়িতে। সেখানে বাড়ীর লোকজন না দেখে প্রেমিকার সন্দেহ হয়। এ সময় প্রেমিক রিপন বাড়ির লোকজন কাছেই আছেন চলে আসবে ভয় নাই বলেই ঘরের দরঝা বন্ধ করে দেয়। এ সময় নানা প্রলোভন ও বিয়ের আশ^াস দিয়ে প্রেমিকাকে শারীরিক সর্ম্পকের প্রস্তাব দেয়। এতে প্রেমিকা সায় না দিলে সে প্রেমিকার বিভিন্ন ছবি ইন্টারন্যাটে প্রচার করবে, এছাড়া সে যেহেতু বিয়ে করবে তাতে শারীরিক সর্ম্পক করতে বাধাঁ দিলেও মানবেনা। আল্লাহর কসম বিয়ে করবে এমন কথায় সরলভাবে বিশ^াস করিয়া প্রেমিকের প্রস্তাবে রাজি হয়ে তারা উভয়ই দৈহ্যিক মিলন করে। এ ঘটনার সপ্তাহখানেক পরে রিপনের দোকানে গিয়ে বিয়ের জন্য বললে, রিপন সব কিছু অস্বীকার করেন। ফলে হতাশ হয়ে পড়ে উক্ত এনজিও কর্মী। এক পর্যায়ে প্রেমিকা ছুটে যায় প্রেমিকের বড় ভাই ফরিদ আহমদ ভুলুর কাছে মিলনগঞ্জস্থ দোকানে। তার ভাইও অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। পরে সমাজপতিদের ধারে ধারে ঘুরেও তার বিচার না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নেয়। এ ব্যাপারে প্রেমিকা বলেন, রিপন আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে সর্বনাশ করেছে। আইনের মাধ্যমে তার অধিকার ফিরে পাবে বলে বিশ^াস করেন এনজিও কর্মী প্রেমিকা। এ বিষয়ে প্রেমিক রিপন আহমদ এর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সুইচ অফ পাওয়া যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর