,

পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের পরিচালকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ :: ব্যবস্থা নিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ে আবেদন

মাধবপুর প্রতিনিধি : পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নিতে বন ও পরিবশে মন্ত্রনালয়ের সচিবের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাধবপুর উপজেলার কমলপুর গ্রামের আনিসুর রহমান আদিল এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কোয়ালিটি ফিড নামে একটি শিল্প প্রতিষ্টানে সহযোগী প্রতিষ্টান “ এইচ এন্ড এইচ ” এগ্রো লিমিটেড মাধবপুর উপজেলার কমলপুর, গোপীনাথপুর , হরিণখোলা, কালিকাপুর এলাকায় ৬টি মেগা পোল্ট্রি মেগা খামার স্থাপন করে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কোন অনুমতি ছাড়ায় এসব মেগা খামার স্থাপন করে। এতে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে কমলপুর গ্রামের আনিসুর রহমান আদিল উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করেন। ২০২১ সালের ১ লা এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসাইন মোল্লা শুনানী শেষে “এইচ এন্ড এইচ” এগ্রো লিমিটেডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদেশ দেন এবং স্ট্যটাস কো জারি করেন। কিন্তু ওই কোম্পানী উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে তাদের খামার পরিচালনা করে যাচ্ছে। বর্তমানে কালিকাপুর রাবার ড্যাম এলাকায় ২ লক্ষ মোরগের একটি খামার স্থাপন করে। উচ্চ আদালতে আদেশের পর ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন শাখার পরিচালক খন্দকার ফজলুল হকের স্বাক্ষরিত একপত্রে যে সকল পোল্টি খামার অনুমতি ব্যতিত পরিচালনা করা হচেছ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদেশ জারি করেন এবং ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তথ্য প্রেরনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু এক বছরের উপর হলেও সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ এমরান হোসেন আইনগত কোন ব্যবস্থা নেননি। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর এ বিষয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেন এর নিকট ফোন করে প্রতিকার চাইলে সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি দল সরজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় পরিচালক এমরান হোসেন আনিসুর রহমান আদিলকে হুমকি দিয়ে বলেন কোম্পানীর সাথে লাগালাগি করলে আদিলের বিরুদ্ধে মামলা হবে। অভিযোগে আনিসুর রহমান উল্লেখ করেন, এমরান হোসেনের আচার ব্যবহার খুব বাজে। এমরান হোসন বাপা কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করারও অভিযোগ করেন আনিসুর রহমান আদিল।
এ ব্যাপারে আনিসুর রহমান আদিল পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের সচিবের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের পরিচালক এমরান হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আনিসুর রহমান আদিলের সঙ্গে উনার ব্যাক্তিগত সমস্যা নেই। খারাপ আচরন ও হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।


     এই বিভাগের আরো খবর