,

কাজে বিরতি :: যা দেখে বুঝবেন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো নেই

সময় ডেস্ক : মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কাজেও সফল হবেন না। একাধারে মাসের পর মাস অফিসে কাজ করে যাচ্ছেন। একটা সময় কাজে অনীহা চলে আসে। আপনার মস্তিষ্ক বলে দিবে আর নিতে পারছেন না।
একটু বিরতি হলে মন্দ হয় না। কখন বুঝবেন কাজ থেকে মানসিক একটা বিরতি দরকার। জেনে নিন।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া
কারো কথা শুনলেই আপনার এখন রাগ লাগে? মাঝে মাঝে মারতেও মন চায়? যদিও সেই ব্যক্তি আপনাকে মারার মতো কোনো কথা বলেনি। আপনার মানসিক অবস্থা যখন খুব খারপ হয়ে যায় ঠিক দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো, তখন এগুলো মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক। বলতে পারেন মানসিক চাপ বা উৎকণ্ঠাতা। অফিসে কাজের চাপে এমন হতেই পারে। শীরের ওপর ঠিক একইভাবে চাপ পড়ে। ফলে সমান্য কথাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এবং আপনার সহকর্মীরা ভাবতে পারে আপনি ভাব ধরে আছেন। এই অবস্থায় এলেই কাজ থেকে বিরতি নিন। বিরতি না নিলে ঠিক ভাবে চিন্তা করতে পারেন না, কাজেও মনযোগ দিতে পারবেন না।
সিদ্ধান্ত নিতে না পারা- সিন্ধান্ত নিতে না পারা, ইতবাচক মনোভাবের অভাব বলে দিতে আপনার মানসিক অবস্থা ভালো নেই। কাজে মন দিতে না পারাও একটা কারণ। এর ফলের আপনি অসামাজিকও হয়ে যেতে পারেন। তাই দেরি না করে কাজ থেকে বিরতি নিন। নিজের জন্য দুই একদিন সময় নিতে পারেন।
কাজে অবহেলা-
আপনার মানসিক অবস্থা খারাপ অবস্থায় পৌঁছালে কাজে ধীরে ধীরে অবহেলা চলে আসে। কাজের গতিও কমে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো কাজ শেষ হবে না। এর মানে বুঝতে হবে নিজের দায়িত্ব থেকে একটু বিরতি দরকার। বিরতির পর পুরো দমে কাজ শুরু করতে পারবেন।
ক্রমাগত অসুস্থ থাকা- মনের সাথে শরীরও জড়িত। মানসিক অবস্থা ভালো না থাকলে আপনার মনে হবে যে, বুক চেপে আসছে, ঘাড় বা কাঁধ শক্ত হয়ে আসছে, পেটের মধ্যে মনে হবে কিছু একটা পেঁচিয়ে আছে। সাথে গা ব্যথা বা খারাপ লাগা তো আছেই। আপনার মনই তখন বলে দিবে বিশ্রাম দরকার।
ঘুমের অসুবিধা- অনিদ্রা একটি উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। যেটি অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হয়ে থাকে। মানসিক চাপে থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত হবেই। এই অবস্থায় অবশ্যই আপনার বিরতি প্রয়োজন।
সূত্র : জি কিউইন্ডিয়া


     এই বিভাগের আরো খবর