,

আজ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন

জুয়েল চৌধুরী : আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে গতকাল রবিবার ভোটের সরঞ্জামসহ প্রশাসনের সদস্যরা কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী ও সাধারণ সদস্য ৩০ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য ১০ মোট ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন পদে। ইতোমধ্যে ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে একমাত্র প্রার্থী আলাউর রহমান সাহেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বইছে ভোটারদের মাঝে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহন করতে হবিগঞ্জ জেলাকে ভাগ করা হয়েছে ৯টি ওয়ার্ডে। ৯টি কেন্দ্রে হবিগঞ্জ জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলার পরিষদে ১ হাজার ৫ শ ৭৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুব সংহতির সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মোল্লা আবু নঈম মোঃ শিবলী খায়ের ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক এড. নূরুল হক। এর আগে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তফসিল অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিতের ঘোষণা দেয়া হয়। সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জের ৯টি উপজেলাকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৯টি উপজেলার ৯টি ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ৫’শ ৭৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট গ্রহন করা হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম টহলে থাকবে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়কালে বলেন- যাতে করে গেল অন্যান্য নির্বাচনের মতো হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। সে বিষয়ে জেলা সহ প্রত্যেক উপজেলায় অবাধ সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে জেলা প্রশাসন ও জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরোও জানান পুলিশ ছাড়াও প্রত্যেকটি কেন্দ্র একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পুরো জেলায় আমি নিজে সার্বক্ষনিক মাঠে থাকবো এবং জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও সার্বিক সহ প্রত্যেক উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) গণ সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করবেন। এতে করে যদি কোন এলাকায় কোন সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের নজরে দেয়ার আহবান জানান তিনি সকলের প্রতি।


     এই বিভাগের আরো খবর