,

হবিগঞ্জে ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা ॥ লম্পট কারাগারে

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন জেল রোড এলাকা থেকে ফিল্মি স্টাইলে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টায়  কাসেম নামের এক ব্যক্তিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সে আক্ষেপ করে জানায়, এক মোরগ কয়বার জবাই হয়। কারণ এর আগেও একই মামলায় একবার জেল খেটেছি। এ যেনো মরার ওপর খরার গাঁ। সে আরও জানায়, ওই ছাত্রী তার আত্মীয় এবং এফিডেভিট করে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তার প্রথম স্ত্রীর কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তারা তাকে নিয়ে যায় এবং মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। এক মাস থাকার পর জামিনে বেরিয়ে এসে সে গত বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর তাকে নিয়ে যেতে এসেছিলো। কিন্তু অপহরণ করে নয়। তবে এসব কথা পুলিশ আমলে নেয়নি। কারণ ওই ছাত্রীর পিতা আরেকটি অপহরণ মামলা দেয়ায় তাকে আবারও কারাগারে যেতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বহুলা গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র সিএনজি চালক কাসেম মিয়া (২৫) গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনাতাবাদ এলাকার বাসিন্দা সফিক মিয়ার এইচএসসি পরীক্ষার্থী কন্যা নিলুফার আক্তার (১৯) কে বৃন্দাবন কলেজ থেকে বের হবার পর পিছু নেয় কাসেমসহ কতিপয় যুবক। হঠাৎ মাইক্রোবাস নিয়ে এসে ফিল্মি স্টাইলে উল্লেখিত স্থান থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়দের ধাওয়ায় অন্যরা পালিয়ে গেলেও কাসেম আটক হয়। তবে কাসেম থানায় নিলুফাকে তার স্ত্রী দাবি করলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। অবশেষে ছাত্রীর পিতা সফিক সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এসআই সনক কান্তি দাশ জানান, আবুল কাসেমকে গত শুক্রবার  ১১ নভেম্বর কোর্টে প্রেরণ করা হবে। বাকীদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত আছে। কাসেমের স্ত্রী কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, তার স্ত্রী সন্তান আছে। কিন্তু কাসেম তাকে স্ত্রী দাবি করলেও প্রমাণ নেই।


     এই বিভাগের আরো খবর