,

মাধবপুরে সরকারি বই বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি

শেখ জাহান রনি, মাধবপুর : মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির যোগসাজশে গত কয়েকবছর ধরে অবিলিকৃত থাকা বিপুল সংখ্যক বই বিক্রী করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অভিসারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেনকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন।
জানা গেছে গত কয়েকবছর ধরে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে এসব বই অবিলিকৃত থাকায় প্রতিষ্টানটির একটি কক্ষে সংরক্ষিত ছিল।সম্প্রতি প্রতিষ্টান প্রধান নুরুল্লাহ ভুইয়া ও গভর্নিং বডির সভাপতি নাসির খান গোপনে এসব বই বিক্রী করে দেন। অভিযোগকারীরা বলছেন গত ৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্টানটির কর্মচারী আলম মিয়া ও সহযোগীতায় ২টি পিকআপ ভ্যান ভর্তি করে অজ্ঞাত এক ক্রেতা এসব বই কিনে নিয়ে গেছেন। প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যে এসব বই বিক্রী করেছেন বলেও অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। জগদীশপুর যোগেশচন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বই বিক্রীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তবে কতোটাকার বই বিক্রী করা হয়েছে এ বিষয়টি তারা ঠিক জানেন না বলেও জানিয়েছেন। তবে প্রতিষ্টানটির সভাপতি নাসির খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কক্ষ পরিস্কার করার জন্য করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের জমা দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টের কাগজপত্র বিক্রী করেছেন।একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে এ সংক্রান্ত কুৎসা রটনা করছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল্লাহ ভুইয়া জানান, বই বিক্রীর প্রশ্নই আসে না। আগের কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র বিক্রী করেছি। কাগজপত্র বিক্রী বাবদ ৭০ হাজার টাকা তার প্রতিষ্টানের আয় হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।রেজুলেশন কপিটা দেখতে চাইলে তিনি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দিতে বলেন। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান, ‘এ সংক্রান্ত একটি মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।


     এই বিভাগের আরো খবর