,

ওয়ানটেন বোর্ড থেকে আটক ৭ :: সরঞ্জাম উদ্ধার :: শহরের সিনেমা হলসহ বিভিন্ন স্পটে জুয়ার আসর

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ওয়ানটেনসহ বিভিন্নভাবে জুয়ার আসর বসছে। পাশাপাশি মাদকসহ রঙ্গলীলারও কমতি নেই। অভিযোগ রয়েছে, অসাধু কিছু পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা এসব কাজ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যা”েছ।
ডিবি পুলিশ ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে এসব আসর থেকে অর্ধশতাধিক জুয়াড়িকে সরঞ্জামসহ আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। কিন্তু জুয়া আইনের ধারা তেমন একটা কঠিন না হওয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জামিনে এসে পুনরায় এসবে জড়িয়ে পড়ে। এতে একদিকে যেমন যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে। অন্যদিকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন স্পটে মাঠের মাঝে ত্রিপাল টানিয়ে ওয়ান টেন বোর্ড, লুডু, এ ছাড়া শহরের সিনেমা হলের সামনে উত্তর দিকে একটি দোকানের ভেতরে কেরাম বোর্ড দিয়ে ২৪ ঘন্টা জুয়ার আসর বসে। আর এখানে যোগ দিচ্ছে অনেক ধনাঢ্য ঘরের নারী পুরুষরা। চলে রাতভর হাজার হাজার টাকার খেলা।
গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে ডিবির ওসি সফিকুল ইসলামের নির্দেশে এসআই রিয়াজ উদ্দিনসহ একদল পুলিশ পইল নতুন বাজার সরকারি ভূমি অফিসের নিকট মাঠে আটঘরিয়া গ্রামের আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে ত্রিপাল টানিয়ে জুয়ার বোর্ড বসিয়ে খেলার সময় ৭ জুয়াড়িকে আটক করে। তারা হল সদর উপজেলার দক্ষিণ বামকান্দি গ্রামের আনফর উল্লার পুত্র মনির হোসেন (৩০), বড় বহুলা গ্রামের কদ্দুছ মিয়ার পুত্র শুভ মিয়া (২০), সফর আলীর পুত্র সাহেদ মিয়া (৩০), পইল আসামপাড়া গ্রামের সারজত আলীর পুত্র চুনু মিয়া (২২), দক্ষিণ পইল গ্রামের মৃত আদম আলীর পুত্র কানাই মিয়া (৩৫), নাজিরপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র শাহিন মিয়া (২৫), চাঁনপুর গ্রামের সিরাজ আলীর পুত্র শাহ আলম (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অন্য জুয়াড়িরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে জুয়া আইনে মামলা করেছে। গতকালই তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, অভিযান চলবে।


     এই বিভাগের আরো খবর