,

১৬ টাকার ইনজেকশন হাজার টাকা! সদর হাসপাতালে বারবিট ইনজেকশনের তীব্র সংকট

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে বারবিট ইনজেকশনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। সরকারি এই হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরে এ ইনজেকশন না থাকায় অনেক শিশুরা মারা যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। পাশাপাশি একটি দালাল চক্র ১৬ টাকার ইনজেকশন হাজার টাকায় বিক্রি করছে।
ফলে ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ ইনজেকশন বেশি প্রযোজ্য। কিন্তু ইনজেকশন না থাকায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার সাথে সাথেই শিশুদের ঢাকা ও সিলেট প্রেরণ করা হয়। কিন্তু যেতে যেতে অনেক শিশু সড়কে মারা যায়। আবার ঢাকা ও সিলেট গিয়েও মারা যায়। এ ইনজেকশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে বিপাকে পড়ে দালালদের মাধ্যমে কিছু কিছু ফার্মেসী থেকে ১৬ টাকার ইনজেকশন ১ হাজার, ১২ শ টাকা দিয়ে কিনে আনেন। আর এদের সহযোগিতা করছে হাসপাতালের কিছু ডাক্তার ও নার্সরা। এ ইনজেকশন শিশুদের খিঁচুনি, শ^াসকষ্ট, পেটপাঁফাসহ জটিল রোগে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু হাসপাতালে আসার পর ইনজেকশন না থাকার কারণে ডাক্তার তাদের রেফার্ড করেন। তাই ভয়ে অনেকে দালালদের মাধ্যমে এ ইনজেকশন ক্রয় করেন। বেশিরভাগ হাসপাতালের গেইটের দক্ষিণ দিকে কয়েকটি ফার্মেসীতে এ ইনজেকশন অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। গায়ের মূল্য ১৬ টাকা। কিন্তু প্রেসক্রিপশন নিয়ে ফার্মেসীতে গেলে বলা হয় ইনজেকশন নাই। অথচ দালাল ধরে গেলে ইনজেকশন পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ দেবাশীষ দাশ জানান, বারবিট ইনজেকশনে সাপ্লাই নেই। তবে এ ইনজেকশন নবজাতকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। দুই একদিনের বাচ্চাদের খিচুনি হলে পুশ করতে হয়। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ভোক্তা অধিকারের সহকারি পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, অনেকেই ইনজেকশনটির অতিরিক্ত দাম রাখার বিষয়ে অভিযোগ করেছে। শীগ্রই এসব ফার্মেসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর