,

নানা সংকটে বিপর্যস্ত ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগান :: জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় আলোচনা :: ইউএনওর প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার : নানা সংকটে বিপর্যস্ত নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩নং পানিউমদা ইউনিয়নে অবস্থিত ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগান। লম্বা সময় ধরে ম্যানেজার ও সহকারী ম্যানেজার না থাকা, মেন্টেনেইন্স এর অভাবে কারখানার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাওয়া, সরকারি পাওনা, স্টাফ ও শ্রমিকদের কোটি টাকার উপড় পাওনা, প্রায় ৮ কোটিরও বেশি টাকা ব্যাংক ঋণ, মোটা অংকের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রাখাসহ নানা অনিয়ম ও চা বাগান ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা অনুযায়ী সঠিকভাবে বাগান পরিচালনা না করায় বাগান দুটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এমতাবস্থায় বাগান দুটিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহারীয়ার। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে টি বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হবে। এছাড়াও গতকাল রবিবার জেলা আইনশৃংখলা কামটির মাসিক সভায় এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
চা-বাগান কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়মের কারনে প্রায়ই চা-শ্রমিকদের মধ্যে অষন্তোষ দেখা দেয়। মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, কাজ বর্জনসহ নানান কর্মসূচী গ্রহণ করে থাকে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ইমাম ও বাউয়ানি পৃথক দুটি চা বাগান হলেও উভয় বাগানের একই মালিক। ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে বাগান ম্যানেজারের পদটি শূণ্য রয়েছে এবং সহকারী ম্যানেজারের পদটিও প্রায় ৭/৮ বছর যাবৎ শুন্য রয়েছে। উপযুক্ত মেন্টেনেইন্স এর অভাবে কারখানার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
গেল বছরের নভেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত বাগান স্টাফদের প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে আছে। তাছাড়া ২০১৯-২০ইং সনে স্টাফদের বেতন বাবদ প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা, ২০২২ইং সনে স্টাফদের প্রায় ৬ লক্ষ টাকা বোনাস এবং প্রভিডেন্ড ফান্ড এর প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে।
গত ৩ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকরা মজুরি না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে, ৩ সপ্তাহে শ্রমিকদের মজুরী ও রেশন বাবদ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে- বাগান কর্তৃপক্ষের প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ রয়েছে এবং মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় কয়েদিন পূর্বে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা বকেয়া থাকায় এর বিপরীতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
এমতাবস্থায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাগান দুটি। বাগান দুটিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছেন উপজেলা নির্বার্হ কর্মকর্তা ইমরান শাহারীয়ার।


     এই বিভাগের আরো খবর