,

ধর্ষণ মামলার আসামি পুলিশ সদস্য শিবলুর জামিন না মঞ্জুর :: বরখাস্ত

জুয়েল চৌধুরী : চুনারুঘাটে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার আসামি পুলিশ সদস্য শিবলুর জামিন না মঞ্জুর করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল-২ আদালতে তার জামিন না মঞ্জুর করা হয়। এর আগে গত সোমবার দুপুরে চুনারুঘাট থানার তদন্ত ওসি এবং মামলার কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা কলেজ ছাত্রীকে আদালতে নিয়ে এলে তার জবানবন্দি গ্রহণ করে নিজ জিম্মায় দেয়া হয়।
সিলেট পুলিশ লাইনের এক কর্মকর্তা জানান, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, সিলেট পুলিশ লাইনে কর্মরত থাকাবস্থায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়েই পুলিশ সদস্য শিমুলকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসে হবিগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় চুনারুঘাট উপজেলার দুধপাতিল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের কন্যা গাজীপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসির ছাত্রী (২০) জানায়, একই গ্রামের মৃত রমিজ উল্লার পুত্র সিলেট পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল শিবলু মিয়া (২৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে সিলেট, শ্রীমঙ্গল, চুনারুঘাটসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে সে অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবে বলে চুনারুঘাটের একটি হাসপাতালে তার গর্ভপাত ঘটায়। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটের হোটেলে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করে সটকে পড়ে।
আরও জানা গেছে, শিবলু বিবাহিত। তার স্ত্রী শারমিন আক্তার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। তানহা নামের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। ওই সময় তিনি অভিযোগ করেন শিবলু স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রেখে আরেক নারী পুলিশ সদস্য একাধিক মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।
শারমিন এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (সিলেট) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি এক পর্যায়ে আপোষে নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু
বিষয়ে ওই কলেজ ছাত্রী জানায়, শিবলুর বিরুদ্ধে মামলা করে। শনিবার ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ওই কলেজ ছাত্রীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। পরে সে চুনারুঘাট থানায় মামলা করে।


     এই বিভাগের আরো খবর