,

নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না -নৌপ্রতিমন্ত্রী

সময় ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না। নৌপথ খননের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, এখন দেশে প্রায় ৮০টি ড্রেজার আছে। নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যারা নদী দখল করেছে তাদের তালিকা করা হয়েছে, এখন তা যাচাই বাছাই চলছে। দখলদারদের হাতে নদী থাকবে না, উদ্ধার হবেই। গতকাল শুক্রবার রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এর ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান, অনুষ্ঠান সমন্বয়ক মাসুম মাহমুদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার- নদী দখলদারদের হাতে থাকবে না। তাঁর নির্দেশনায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৮০ টি ড্রেজার সংগৃহীত হয়েছ। নৌপথ দখল ও দূষণমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নৌপথ ও নদী রক্ষার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের পাশে বর্তমান সরকার রয়েছে। কাকলী প্রধান নদী নিয়ে যে আয়োজন করেছে এটা সকল জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলেই দেশের নদী রক্ষা পাবে।
এসময় তিনি নদীকে নিয়ে সবাইকে ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধান হওয়ার আহ্বান জানান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশকে আমরা প্রবহমান নদীর দেশে রূপান্তরিত করবো। গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমরা নদী উদ্ধার করতে পেরেছি এই জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরো দেশে পড়ছে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। পানির স্তর কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। প্রদর্শিত প্রতিটি ছবির দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট, উচ্চতা ১০ফুট।
সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং শিশু সংগঠন ‘ইকরিমিকরি’ সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্য কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ১০০ নদীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও টেকনাফে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে শুরু হয় ‘নদী নেবে’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী সিরিজের প্রথম পর্ব। এতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।


     এই বিভাগের আরো খবর