,

তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণার পর দাম বাড়ল ৬ শতাংশ

সময় ডেস্ক : রাশিয়া ও সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলো দিনে ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি জ্বালানি তেল উৎপাদন কমাচ্ছে। এতে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা। রোববার উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ জ্বালানি উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জোট ও এর মিত্র ওপেক প্লাস। এরপর গতকাল সোমবার তেলের দাম ৬ শতাংশর বেশি বেড়েছে। খবর- বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল করার জন্য উপসাগরীয় মিত্রদের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ রয়েছে। তা সত্ত্বেও উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জোট ওপেক প্লাস। এটি মূলত জোটের ঐক্যের ইঙ্গিত দেয়। পাশাপাশি তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় সীমিত করার জন্য পশ্চিমাদের প্রচেষ্টাকেও দুর্বল করে। ওপেক সদস্য দেশগুলো দাবি, বাজারে স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও তেল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চাপ রয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাস থেকে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, আলজেরিয়া এবং ওমান প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল উৎপাদন কমাবে। যা গত বছরের অক্টোবরে ওপেক প্লাসের দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানোর পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় হ্রাসের ঘটনা।
ওপেক প্লাসের সদস্য রাশিয়া বলেছে, তারাও এই বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়টি বর্ধিত করছে। এছাড়া উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপকে ‘দায?িত্বশীল এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ’ বলেও অভিহিত করেছে দেশটি।
সৌদি আরবের সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, ‘তেলের বাজারের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করার লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে’ জোর দিয়ে বলেছেন সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
রয়টার্স বলছে, সৌদি আরব প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল, ইরাক ২ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল, কুয়েত ১ লাখ ২৮ হাজার ব্যারেল, আলজেরিয়া ৪৮ হাজার ব্যারেল এবং ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে।


     এই বিভাগের আরো খবর