,

কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন :: হতাশায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ঋণ প্রত্যাশীরা

জুয়েল চৌধুরী : দেশের কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তহবিল থেকে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, বর্গা চাষীদের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে। এবার গরু মোটাতাজা করতেও এ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়া যাবে। কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এ ঋণ বিতরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকরা বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে যোগাযোগ করেও এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানতে পারছেন না। ফলে ঋণ পাওয়ার সকল যোগ্যতা থাকাস্বত্তেও ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, বর্গা চাষী ঋণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নিরূপায় হয়ে অনেক ঋণ প্রত্যাশী জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। তাদের বারবার যোগাযোগের কারণে জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে যোগাযোগ করলেও ব্যাংক কর্মকর্তারা তা আমলে নিচ্ছেন না। এতে শায়েস্তাগঞ্জের অনেক ঋণ প্রত্যাশী বিশেষ করে অনেক উদ্যোক্তা ও খামারীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গত ২০ মার্চ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ব্যাংকগুলো দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তহবিল নিয়ে কৃষকদের ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। ৩ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১৮ মাসে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন চাষীরা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন মেয়াদে এই স্কিম বলবৎ থাকবে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রয়োজনে মেয়াদ ও তহবিলের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে এই স্কিম গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এফএম আহমদ অলি জানান, অনেক ঋণ প্রত্যাশীরা বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে কোনো তথ্য না পেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেন। আমি নিজেও কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করি। কিন্তু তারা কেউ আমাদের সাথে এ বিষয়ে জানাতে অনিহা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়টি সমাধানে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর