,

সরানোর নির্দেশমানিকগঞ্জে গণচুরির রহস্য উদঘাটন :: লাখাই’র যুবকসহ গ্রেফতার দুই

স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জ শহরে এক রাতে ১৫ দোকানে গণচুরির ঘটনার সাত দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করেছে সদর থানা পুলিশ। এই গণচুরিতে অংশ নেয় চারজন যুবক। যাদের সবার বিরুদ্ধেই একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। তারা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য। ইতোমধ্যে চোর চক্রের চার সদস্যের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হল, সিলেটের গোপালগঞ্জ থানার ভাদেশ্বর এলাকার চুনু মিয়ার ছেলে মো. তানভীর হোসেন ইসলাম (২৩) ও লাখাই থানার ভাদিকারা এলাকার মো. আছই মিয়ার ছেলে মো. মোস্তফা মিয়া (২২)।
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া এলাকা থেকে গত বুধবার মধ্যরাতে তাদের গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশের একটি দল। শহরের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে দোকান চুরির ৬০ হাজার টাকা, চোরাই সিগারেট ও মোবাইলের সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতেই তাদের গ্রেফতার করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গণচুরির রহস্য উদঘাটন ও চুরির ঘটনায় অংশ নেওয়া দুই আন্তঃজেলা চোর গ্রেফতার নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিং করেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতার চোর চক্রের দুই সদস্য কিভাবে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে আর এ মিশনে কয়জন অংশ নেয় তার বিস্তারিত বিষয় স্বীকার করেছে এবং বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইমতিয়াজ আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নুরজাহান লাবনী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরুল হাসান ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আ. রউফ সরকার উপস্থিত ছিলেন।
চাঞ্চল্যকর চুরির মামলা প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি আ. রউফ সরকার জানান, আসামিরা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা চুরির আগে ঘটনাস্থলগুলো রেকি করে যায়। পরে রাতে দোকানের শাটারগুলোতে লোহার রড এবং বাঁশ দিয়ে কৌশলে উঁচা করে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় দলের মধ্যে শারীরিকভাবে হাল্কা গঠনের সদস্যকে দোকানে ঢুকিয়ে চুরি করে।
তিনি বলেন, চোরেরা মানিকগঞ্জসহ আশপাশ জেলার বিভিন্ন এলাকায় একই কৌশলে দোকানে দোকানে চুরি করে আসছিল। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে গণচুরির মূলহোতা আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য হাসান এবং রিপনকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় এক রাতে ১৫টি দোকানে চোরের হানা দেয়। এর মধ্যে ১০টি দোকানের নগদ অর্থসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে। চুরির ঘটনায় মা জেনারেল স্টোরের মালিক মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর