,

বাহুবলে কৃষি উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে ঘোষ নেয়ার অভিযোগ :: অপসারণের দাবীতে স্থানীয়দের বিক্ষোভ

জুবায়ের আহমেদ, বাহুবল : বাহুবলে উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী নুরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে দিনমজুর কৃষককে যান্ত্রিক প্রকল্পের আওতায় ধান ভাঙ্গার পাওয়ার প্রেসার মেশিন দেয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা ঘোষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় সিলেট খামারবাড়ি সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ইলিয়াস আলী ইউসুফ।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়নের যশপাল গ্রামের মৃত হোছন আলীর ছেলে মোঃ ইলিয়াস আলী ইউসুফ বিগত রবি-২৩ মৌসুমে খামার প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে ধান ভাঙ্গার প্রেসার মেশিন নেয়ার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে আসেন। এসময় ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম খানের সাথে দেখা হয় ইলিয়াসের। ঘন্টাব্যাপী আলাপ আলোচনার পর কোন আবেদন ছাড়াই ইলিয়াসকে মেশিন দিতে সম্মতি জানান নুরুল ইসলাম খান। বিনিময়ে কিছু টাকা দিলেই চলবে! উপ-সহকারীর এ কথা শুনে ইলিয়াস আলী সরল বিশ্বাসে তাকে ১০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ২৩ মৌসুম পাড় হয়ে গেলেও উপ-সহকারী নুরুল ইসলাম খান তাকে মেশিন দিবেন দূরের কথা কোন পাত্তাই দিচ্ছেন না। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ইলিয়াস আলী ইউসুফ উপ-সহকারী নুরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে গত ৫/৯/২৩ তারিখ সিলেট খাবারবাড়ি সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল প্রায় ২টার দিকে বিষয়টি জানতে সরেজমিনে ইলিয়াস আলীর বাড়িতে যান উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন। তিনি ইলিয়াস আলীর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী সন্তানের সামনে তাকে পুলিশ দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে পিটিয়ে হাড্ডি-গুড্ডি ভেঙ্গে দিবেন বলে হুমকি ধামকি দেন। একপর্যায়ে স্থানীয় গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে তিনি ইলিয়াস আলীর বাড়ি থেকে দ্রুত বের হয়ে চলে আসেন।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সোমবার বেলা ২টার দিকে যশপাল গ্রামের শতাধিক মানুষ মিছিল সহকারে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমার কার্যালয়ে এসে কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন ও উপ-সহকারী নুরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং অবিলম্বে নুরুল ইসলাম খানকে অপসারণের দাবী জানান বিক্ষোভকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে ইলিয়াস আলীর বাড়িতে যাই কিন্তু তাকে কোন হুমকি ধামকি দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উপ-সহকারী নুরুল ইসলাম খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘোষ নেয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, কৃষি অফিস থেকে ভর্তুকি মূল্য হালচাষ, ধান ভাঙ্গার মেশিন সহ বিভিন্ন যান্ত্রিক কৃষকদেরকে দেয়া হয়। বিনিময়ে কোন টাকা পয়সা নেয়া হয়না।


     এই বিভাগের আরো খবর