,

নানা সমস্যায় ভূগছেন বদলপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা

আল-আমিন, আজমিরীগঞ্জ : আজমিরীগঞ্জে আশ্রয়হীন লোকজন আশ্রয় পেয়ে ও নানান সমস্যায় দিন কাটাতে হচ্ছে, আশ্রয়ন প্রকল্প যেন জলাশয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। নেই কোন চলাচলের সুবিধা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর সংলগ্ন শ্রীদামপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের দরজার সামনে ময়লা আবর্জনা যুক্ত জলাশয়, পর্যাপ্ত সুপেয় পানির অভাব ও যোগাযোগের সমস্যায় ভুগছেন বাসিন্দারা। ৩টি সারিতে ১৮টি আধাপাকা রঙিন ঘর। এগুলোর সামনের জলাশয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি থেকে সকল সময় বেরুচ্ছে দুর্গন্ধ। রাস্তার অভাবে বাঁশের সাকু দিয়ে পার হচ্ছেন এখানের বাসিন্দারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৮টি ঘর নির্মাণ করে দেন উপজেলা প্রশাসন। আরও জানা যায় ২০২১ সালের ৩০ শে জুন বিদ্যুৎ, পানি, শৌচাগার,ও রান্নাঘরের ব্যবস্থাসহ ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে চলাচলের জন্য কোন সড়ক না থাকায় বাসিন্দারা চলাচল করতে হচ্ছে অন্যের বাড়ির পিছন দিয়ে। কিন্তু বাড়ির মালিকরা প্রায়ই তাদেরকে চলাচলে বাধা দেয়। এই নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গুচ্ছ গ্রামের প্রবেশ মুখে রাস্তা নেই বর্তমানে, আগে যেটি ছিল সেটা বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গিয়ে নালার সৃষ্টি হয়ে গেছে। সেখানে কয়েকটি বাঁশ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে সাকো। সেই সাকো দিয়ে লোকজন চলাচল করছেন। ঘরের সামনে উঠানের মাটি সরে গিয়ে জলাশয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ চরাচ্ছে, পানিতে ময়লা আবর্জনা ভাসছে। পানি কালছে রং ধারন করছে।
উপকারভোগী জয়বাশী দাস, প্রনতি রানী, শুক্লবৈদ্য, শিল্পী রানী দাস সহ কয়েকজন জানান, প্রধান মন্ত্রীর উপহার পাওয়ার পর সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের বন্যায় পানি উঠে মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। সেগুলো এখন জলাশয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এর পর থেকে অন্যের বাড়ির পিছনে দিয়ে ময়লা আবর্জনার উপরদিয়ে যাতায়াত করতে হয়। প্রায় সময় তারা আমাদের নিষেধ করেন। গালি গালাজ করেন আমাদের তা সহ্য করে চলতে হচ্ছে। তারা বলেন শ্রীদামপুর গ্রামের কয়েকটি টয়লেটের ময়লা আবর্জনা আশ্রয়ন প্রকল্পের ভেতরের জলাশয়ে প্রবেশ করছে। এতে করে প্রচুর দুর্গন্ধ চরাচ্ছে। শিশুরা প্রায়ই এই ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানিতে নামছে। এতে করে তাদের শরীরে চর্মরোগ সহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দুটি টিউবওয়েল থাকলে ও একটি নষ্ট থাকায় পর্যাপ্ত পানির অভাব রয়েছে।
প্রকল্পের বাসিন্দা ঠাকুর মনি প্রকাশ বলেন পূর্ব দিকে আমরা যাইতে পারি না, পশ্চিমেও পথ নেই, দক্ষিণে বড় খাল, উত্তরেও ধান ক্ষেত রাস্তা নেই। সবদিকে গ্রামবাসীর জায়গা। পুরো বন্ধী জীবনের মতো কাটাচ্ছি। আমাদের এই সমস্যার কথা মৌখিক ভাবে কিছুদিন আগে এসিল্যান্ড স্যারকে অবগত করেছি। সরকারের ঘর পেয়ে আমরা আনন্দিত কিন্তু এ সমস্যা গুলো আমাদের অনেক কষ্ট দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সরজমিনে পরিদর্শন করে সমস্যা গুলো সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর