,

বাহুবলে অটোরিক্সা আটকিয়ে হাইওয়ে পুলিশের টাকা দাবী :: মহাসড়ক অবরোধ

বাহুবল প্রতিনিধি : বাহুবলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা আটকিয়ে হাইওয়ে পুলিশের টাকা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রায় এক ঘন্টা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সদর মৌচাকে এ ঘটনা ঘটে।
পথচারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা সিলেট মহাসড়কে প্রায় সময়ই ডিউটি ও টহলের নামে চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার কিছু অসাধু পুলিশ।
তারা প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর দুপুরে এস আই করিমের নেতৃত্বে একটি মাইক্রো বাস নিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় ডিউটিতে আসে একদল পুলিশ। হাইওয়ে থানা পুলিশ বাহুবল উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় আসামাত্রই দ্রুত মাইক্রো থেকে নেমে একটি অটোরিক্সা আটক এবং অন্যান্য অটোরিক্সা আটক করতে চেষ্টা করে। এসময় খবরটি অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা আটককৃত অটোরিক্সা ছাড়িয়ে নিতে প্রায় এক ঘন্টা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
এসময় মহাসড়কের দুইপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, সাতকাপন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক ও ওয়ার্ড মেম্বার দুলাল মিয়াসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্তনা দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান বলেন, ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলি, পরে দুইপক্ষের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি অবসান হলে তারা অবরোধ তুলে নেয়,পরে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে থানার এস.আই করিম আহমেদ বলেন, আমরা ডিউটিতে গিয়ে দেখতে পাই মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় অবাধে সিএনজি অটো রিক্সা চলাচল করছে, এসময় আমরা একটি অটোরিক্সা আটক করি, পরে মূহুর্তের মধ্যেই শ্রমিকরা এসে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান আসলে ভুলবোঝাবুঝির অবসান হলে অটোরিক্সাটি চেড়ে দেয়া হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর