,

সদর হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারী ২ হাজার ও সিজারে লাগে ৭ হাজার!

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারী করাতে ফি দিতে হয় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। সিজার করলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। তবে এটি নেয় মূলত কতিপয় আয়া ও সিনিয়র নার্সরা। প্রতিদিন গ্রামগঞ্জ থেকে আসা মানুষজনকে বেকায়দায় ফেলে এমনটা করে থাকেন হাসপাতালের কিছু নার্স ও আয়ারা। এতে করে সাধারণ মানুষ যেমন ভোগান্তিতে পড়ছেন অন্যদিকে হাসপাতালের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নরমাল ডেলিভারী করাতে কোনো ফি দিতে হয় না। তবে সিজার করাতে সামান্য কিছু ফি দিতে হয়। তারপরও যদি কেউ এমন করে থাকে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, বিভিন্ন উপজেলাতে দরিদ্র পরিবারের প্রসূতি নারীরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসার সাথে সাথেই দালালদের খপ্পড়ে পড়েন। দালালরা জরুরি বিভাগে নাম, ঠিকানা লিখিয়ে ওই নারীকে গাইনী ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। সেখানে যাবার পর সিট না পাওয়া গেলেও মেঝেতে ব্যবস্থা করে দিতে হয়। এ জন্যও আয়াকে দিতে হয় টাকা। আবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলা হয়, এই মুহুর্তে যদি সিজার কিংবা বাচ্চা নরমালভাবে ডেলিভারী না করানো হয় তাহলে মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। অনেকে ভয়ে করণীয় জানতে চাইলে চুমকি হরিজন নামে আয়া জানান, টাকার ব্যবস্থা করা হলে নরমাল ডেলিভারী করানো হবে। প্রথমে ৫ হাজার টাকা চাওয়া হলেও ২-৩ হাজারে রোগীর স্বজনরা রাজি হলে বাহির থেকে উপকরণ এনে নরমাল ডেলিভারী করানো হয়। এতে অনেক সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়, মায়ের ঝুঁকি থেকে যায়। আবার সিজার করানো হলে ৫-৭ হাজার টাকা নেয়া হয়।
ভবানীপুরের অর্জুন রবি দাস জানান, তার স্ত্রীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে আয়া চুমকি হরিজন জানায়, নরমাল ডেলিভারী করতে ৩ হাজার টাকা লাগবে। অনুরোধ করে ১ হাজার টাকা দিলেও ডেলিভারী করানো হয়নি। অন্যথায় যে কোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটবে এমন হুমকি দিলে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে তার স্ত্রীর ডেলিভারী করানো হয়। ওই টাকার এক ভাগ দায়িত্বে থাকা নার্সরাও নিয়ে থাকে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর