,

হবিগঞ্জে বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে কাজী বাচ্চু রিমান্ডে

মোঃ আক্তার হোসেন : হবিগঞ্জ শহরে বাল্য বিয়ে পড়ানোর মামলায় কারাগারে থাকা কাজী আবুল হাসান বাচ্চু (৩৫) কে রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় সদর থানায় কয়েকজন কাজীকে তাকে ছাড়িয়ে নিতে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে সদর থানার এসআই সনক কান্তি দাশ তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে থানায় নিয়ে আসেন। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এ গুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেনের আদালতে সদর থানার এসআই সনক কান্তি দাশ তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর আগে গত ৮ অক্টোবর বাচ্চুকে সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে আটক করে। সে নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা গ্রামের আমরুল মিয়ার পুত্র ও বেবিষ্ট্যান্ড এলাকার কাজী।
জানা যায়, শায়েস্তানগর এলাকার আব্দুল মন্নানের পুত্র শাহীনুর রহমান মাহি (১৯) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি কেন্দুয়াবহ গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার কন্যা তাহমিনা খাতুন (২০) এর। কিন্তু বয়স না হওয়া স্বত্তেও ভূয়া জন্মনিবন্ধন দিয়ে কাজী বাচ্চু মিয়া টাকার বিনিময়ে ২৫-০৮-২০২০ সালে বিয়ে দেন। এতোদিন বিয়ে গোপন ছিলো। পরে জানাজানি হলে শাহীনুর রহমানের মা জাহানারা খাতুন বাদি হয়ে কোর্টে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইনে কাজীসহ তাহমিনা খাতুন ও অন্যান্যদের ওপর মামলা করেন ৭ অক্টোবর। বিচারক মামলা আমলে নিয়ে সদর থানাকে মামলা রুজুর নির্দেশ দেন। হবিগঞ্জ শহরে এমন আরও বেশ কয়েকজন কাজী রয়েছেন। যারা ভূয়া জন্মনিববন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে অপ্রাপ্ত ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় তারা রয়ে যান ধরাছোয়ার বাইরে। আবার অনেক কাজী নির্দিষ্ঠ স্থান ছাড়া অন্য জায়গায় গিয়ে বিয়ে পড়ান।
কাজী বাচ্চু মিয়া জানান, ছেলে-মেয়ে আমার কাছে জন্মনিবন্ধন নিয়ে এসেছে। এতে বয়স সঠিক ছিলো। তাই বিয়ে পড়িয়েছি। কিন্তু এতে ছেলের মা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি নিদোর্ষ।


     এই বিভাগের আরো খবর